বিজেপি নেতাদের বেসুরো হওয়া আর আটকাচ্ছে কই!
ভোট পরবর্তী সময়ে বিজেপির অবস্থা থেকে কতটা ভঙ্গুর তা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে বারবার। যতই বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করুন, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ুন, নেতাদের বেসুরো হওয়া আর আটকাচ্ছে কই! বিজেপি এখন দু-ভাগ। একাংশ আর বাংলার সরকারের সমালোচনার পথে হাঁটতে চাইছেন না। বরং কেন হারল বিজেপি, মানুষ কেন নিল না তাঁদের তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্ করছেন তাঁরা।
মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর দেখানো পথেই হাঁটলেন রাজীব
শুভ্রাংশু রায় মাত্র কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন- মানুষের সমর্থনে জিতে আসা সরকারের সমালোচনা করার আগে আত্মসমালোচনা করা জরুরি। তারপরই হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছিল। শুভ্রাংশু তৃণমূলে ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়কে নিয়েও শুরু হয়েছিল জল্পনার জাল বোনা। এবার সেই পথে পা রাখলেন রাজীব।
সমালোচনা অনেক হল- শিরোনামে বিস্ফোরক রাজীব
এবার শুভ্রাংশুর পথে হেঁটেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন একটি বার্তা। সমালোচনা অনেক হল- এই শিরোনামে তিনি মমতার সরকারের পাশে থাকার বার্তা যেমন দিলেন, তেমনই বিজেপিকে সমালোচনা বা দিল্লির ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা করে, তীব্র হিন্দুত্ববাদী প্রচার করে যে বিজেপি ভালো ফল পায়নি, তা তো দেখা গিয়েছে, তাই এবার জুজু দেখানো বন্ধ করা জরুরি।
ডোমজুড়ে হারের পর অন্তরালে থেকেই বিস্ফোরণ রাজীবের
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে চাটার্ড ফাইলে করে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর বিজেপির টিকিটে তিনি নির্বাচনেও লড়েন। কিন্তু নিজের গড় ডোমজুড়ে তিনি হার মানেন তৃণমূলের কাছে। তারপর থেকেই নিজেকে অন্তরালে রেখেছিলেন তিনি। মাঝে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা জীবন শ্রদ্ধার বার্তা দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, তিনি তৃণমূল ছেড়েছিলেন মমতার ছবি বুকে নিয়ে, কান্নাভেজা গলায় জানিয়েছিলেন বিদায়-বার্তা।
বিজেপির বৈঠক শেষ হতেই ফেসবুকে বিস্ফোরক রাজীব
মঙ্গলবার বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠকে মুকুল রায়ের পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও গরহাজির ছিলেন। এই বৈঠকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দরবারের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষের পর রাজীব ফেসবুকে বিস্ফোরণ ঘটান। কথায় কথায় দিল্লির জুজু দেখানো বন্ধ করার আর্জি জানান নেতৃত্বকে।