গত দু-সপ্তাহ ধরেই গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। কমেছে মৃত্যুহারও। কিন্তু এখনও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের একটা বড় অংশের গ্রামাঞ্চল। এমতবস্থায় এবার কোভিডের গতিপ্রকৃতি বুঝতে দেশব্যাপী চতুর্থ দফার সেরোসার্ভে করতে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। সূত্রের খবর, এবারের সার্ভের প্রথম দফার কাজ শুরু হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৭০টি জেলার উপর ভিত্তি করে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবারের সেরোসার্ভে ৬ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদেরও যুক্ত করা হচ্ছে বলে আইসিএমআর সূত্রে খবর। পাশাপাশি গোটা গবেষণা প্রক্রিয়ার জন্য ২১ টি রাজ্যের ৭০টি জেলার জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে গত ৪ জুন লেখা একটি চিঠিতে সেরোসার্ভের বিষয়ে প্রথম জানান আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব।
ওই চিঠিতেই তিনি লেখেন, “ জুনেই দেশের চতুর্থ পর্যায়ের জাতীয় সেরোসার্ভে করা হবে। গোটা দেশে বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের হালহকিকত বুঝতে এই সার্ভে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম তিনটি রাউন্ডে দেশের ৭০টি জেলার তথ্য বিশ্লেষণের উপরেই প্রধানত জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই প্রথম শিশুদের উপরেও চলবে সমীক্ষা।” এদিকে তালিকায় থাকা ২১টি রাজ্যের মধ্যে থাকছে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো সর্বাধিক করোনা কবলিত রাজ্যগুলিও।
দফায় দফায় বদল টিকা নীতি, ভ্যাকসিন নীতি ৩.০-র হাত ধরে সঙ্কটকালে কতটা মিলবে সুফল?
এদিকে গত ডিসেম্বরের সেরোসার্ভের রিপোর্ট চমকে দিয়েছিল সকলকেই। ওই রিপোর্টের হাত ধরেই আশঙ্কা করা হয়, করোনা চিত্র যাই বলুক যে ভাবে গত বছর থেকে খোলা হাতে ব্যাট চালাচ্ছে মারণ ভাইরাস তাতে এতদিনে ভারতের ৫০ শতাংশ মানুষই কোনও না কোনও ভাবে করোনার সংস্পর্শে এসেছেন। এই বিপুল পরিমাণ মানুষের পরীক্ষা করোনা পরীক্ষা বাস্তবিক ভাবে সম্ভব না হওয়াতেই হিসাবে গলদ থেকেই যাচ্ছে।বর্তমানে চতুর্থ দফার সেরোসার্ভেতে কী রিপোর্ট সামনে আসে এখন সেটাই দেখার।