ডারবান : সম্প্রতি গিয়েছে গান্ধীজি (gandhiji) প্রথম সত্যাগ্রহের দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার (south africa) মাটিতে সেই আন্দোলন তাঁকে ভারতের (india) স্বাধীনতা আন্দোলনের (freedom fight) পথ দেখিয়েছিল। আর সেই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই গান্ধীজির প্রপৌত্রী (great granddaughter) নামে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ।
একে ভারতের লজ্জা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রী আশিসলতা রামগোবিন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৮লক্ষ ৩১হাজার ৩৮০ ডলার মূল্যের প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শিল্পপতি তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। দোষী প্রমাণিতও হয়েছেন গান্ধীজির প্রপৌত্রী। তাই কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। প্রতারণা ও জালিয়াতির দায়ে সাত বছরের জন্য জেলে থাকতে হবে ৫৬ বছরের মহিলাকে। ডারবানের আদালত এই রায় দিয়েছে। ঘটনা হল দক্ষিণ আফ্রিকায় বহুবার জেলে গিয়েছেন। ভারতের বর্ণবিদ্বেষ ও নানা আইন নিয়ে লড়াই করে তিনি কারাবরণ করেছিলেন। আর তাঁর প্রপৌত্রী…..
তিনি জাতির জনক। সততা, পরিচ্ছন্নতা, শান্তির অন্যতম প্রতীক। আর তাঁরই প্রপৌত্রীর গায়ে শেষে প্রতারণার তকমা লেগেছে। অভিযোগ তিনি দুই শিল্পপতিকে ঠকিয়েছেন। তাঁরা আশিসলতার বিরুদ্ধে ১.১ কোটি র্যান্ড অর্থাত্ ৮,৩১,৩৮০ ডলার প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন।
এই খবর মিলেছে অনুসন্ধান সংস্থা ‘হক্স’-এর মারফৎ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতারণা অনুসন্ধান সংস্থা ‘হক্স’। তার প্রধান কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার হাংওয়ানি মুলাউদজি। তিনি জানিয়েছেন, ‘গান্ধীজির বংশধরের হেফাজত থেকে বেশ কয়েকটি ভুয়ো রসিদ ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে তিনটি কন্টেনার বোঝাই চাদর।’ অভিযোগ এই যে ওই সমস্ত নকল নথি, রসিদপত্র দেখিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীর থেকে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন মহাত্মার প্রপৌত্রী। কিন্তু পরে জানা যায় কোনও দ্রব্যই রফতানি করা হয়নি।
হাংওয়ানির মুলাউদজির আরও দাবি এই যে, ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে তিনি ব্যবসা ফেঁসে বসেছিলেন। কী ছিল সেই ব্যবসা? জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল গ্রুপ ‘নেটকেয়ার’-কে বিছানা সরবরাহের বরাত জোগাড় করেছিলেন আশিসলতা রামগোবিন। সেই বিছানা কোথা থেকে আনাতেন তিনি? জানা গিয়েছে, ভারত থেকে জাহাজে কন্টেনার বোঝাই বিছানা আমদানি করেন তিনি।
শুধু এইটা নয়, আশিসলতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। এসআর মহারাজ নামে দক্ষিণ আফ্রিকার আর এক শিল্পপতির থেকে ৬২ লক্ষ র্যান্ড নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিনিয়োগ করা অর্থের মোটা পরিমাণ সুদ মিলবে বলে মহারাজকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এও জানিয়েছিলেন, ওই অর্থ বিভিন্ন শুল্ক মেটাতে খরচ করা হবে। অভিযোগ একই কৌশলে অন্য এক বিনিয়োগকারীর থেকে ৫২ লক্ষ র্যান্ড অগ্রিম হিসাবে আদায় করেছিলেন গান্ধীজির প্রপৌত্রী। তারপর, যা হয়। সব টাকাই এধার ওধার হয়ে গিয়েছে। বাকিটা ভারতের লজ্জার খাতায় জমা পড়েছে।
আশিসলতা কীভাবে গান্ধীজির সঙ্গে জড়িত? জানা গিয়েছে তিনি বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ইলা গান্ধী এবং মেওয়া রামগোবিনের সন্তান। তাঁরা গান্ধীজির দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময় ঐতিহাসিক ফিনিক্স চুক্তিপত্র উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.