সিমলাঃ করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। এমন সময় অসহায়দের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসছেন সেলেব থেকে আমজনতারাও। উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে জাতি-ধরম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের একতার প্রতীক হিসেবে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। ঠিক তেমনই, একটি মুসলিম যুব সংগঠন (Corona Hero) নাহান মন্দির ও মসজিদের বাইরে বসবাসরত অভাবী লোকদের মধ্যে রেশন কিট বিতরণ করছে। ধর্মীয় স্থান বন্ধ থাকায় এই লোকদের খাবার পেতে নানান প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। সে কথা ভেবেই, এই একদল যুবক, এ জাতীয় লোকদের চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে রেশন কিট বিতরণ করছে।
ওই সংগঠনের সভাপতি ববি আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সরফরাজ গৌরা, সাধারণ সম্পাদক হাজী আমজাদ, অসীম, আরশ আহমেদ, সাইফ আলী মন্দির এবং মসজিদের বাইরে জীবনযাপনের করা ওই সমস্ত মানুষদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে রেশন কিট বিতরণ করছেন। এই রেশন কিটগুলির মধ্যে রয়েছে চাল, ময়দা, আলু-পেঁয়াজ, দুধ, চা পাতা, চিনি, নুন, তিন ধরণের ডাল, রুটি ইত্যাদি। এমনকি তাঁরা (Corona Hero) এও জানাচ্ছে যে, যারা রেশন কিট নিতে আসতে পারছে না, তাদের বাড়িতে রেশন কিট পৌঁছে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে সম্প্রতি এরাজ্যে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির ছাপ এখনও জ্বলজ্বল করছে। সেখনেই সম্প্রতি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ (Bharat sevasram sangha)। তাঁদের উদ্যোগে দুই ২৪ পরগনা (24 paganas) ও পুর্ব মেদিনীপুর (east midnapore) বিস্তীর্ণ এলাকায় রান্না করা খাবার বিতরণের কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ পরিচালিত বিরাটি হিন্দু মিলন মন্দিরের উদ্যোগে এলাকার মানুষকে শুকনো খাবার (dry food) দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছিল।
বিরাটি হিন্দু মিলন মন্দিরের (Birati Hindu Milan Mandir) যুগ্ম সম্পাদক সুকুমার সরকার ও প্রনব ছাত্রাবাসের প্রধান পরিচালক শুভাশিষ বাগচি এলাকার গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের চাল, ডাল, চিড়ে,মুড়ি, বিষ্কুট,কেক সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার তুলে দিয়েছিলেন।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের (Bharat sevasram sangha) প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেছিলেন, ‘ইতিমধ্যেই দুই ২৪ পরগনা ও পুর্ব মেদনিপুরের কয়েক হাজার ঘরছাড়া মানুষকে সঙ্ঘের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কোটালের ফলে জলমগ্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্না করা ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিচ্ছে সঙ্ঘের সন্নাসী ও সেচ্ছাসেবকরা।’ সব মিলিয়ে দুর্দিনে বাংলা সহ গোটা ভারত যে একতার প্রতীক হয়ে ওঠে, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.