লাহোর: সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী (Security Guard) চিকিৎসকের ভূমিকায়। করেও ফেললেন অস্ত্রোপ্রচার (Operation)। পরিণামে মৃত্যু হল অসুস্থ মহিলার। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরের এক সরকারি হাসপাতালে। যা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরী হয় গোটা শহরে।
২ সপ্তাহ আগে লাহোরের (Lahore) পূর্ব শহরের এক সরকারি হাসপাতালে পিঠে ক্ষত নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শামীমা বেগম নামে ৮০ বছরের বৃদ্ধা। চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই বৃদ্ধাকে অপারেশনও করেন মহম্মদ ওয়াহিদ বাট নামক এক নিরাপত্তা রক্ষী। কিন্তু অপারেশনের দু’সপ্তাহ পর মারা যান শামীমা বেগম। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় চলছে পাকিস্তানে।
অথচ এই ঘটনায় বেমালুম ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে লাহোরের মায়ো হাসপাতালের (Lahore Mayo Hospital) প্রশাসনিক আধিকারিক। নিজেদের গাফিলতি স্বীকার না করে অদ্ভুত যুক্তি দিচ্ছেন। তাদের কথা অনুযায়ী, ‘প্রত্যেক চিকিৎসক কি করছেন এবং সকলে কোন কাজ করছেন তা সব সময় লক্ষ্য রাখা সম্ভব নয়।’ তিনি আরো জানান যে, এটা খুবই অস্পষ্ট যে কি ধরনে অস্ত্রোপচার ওই চিকিৎসক করেছিল অপারেশন থিয়েটারে,যেখানে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদও ছিলেন। অর্থাৎ চিকিৎসক নয় প্রযুক্তিবিদের ভরসায় ওই হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা।
অপারেশনের পর ওয়াহিদ ওই বৃদ্ধার ক্ষতে ড্রেসিং করার জন্যে দু’বার গিয়েছিলেন তাদের বাড়ি। কিন্তু ক্ষত থেকে রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় শামীমা বেগমের অবস্থা শোচনীয় অবস্থায় চলে যায়। তখন তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে সময়ই ঘটনা ফাঁস হয় যে, আসলে অপারেশনের নামে কি হয়েছে।
অপটু হাতে অস্ত্রোপচারের কারণে মৃত্যু হয়েছিল কিনা তা নির্ধারণের জন্য তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়। লাহোর পুলিশের (Lahore Police) মুখপাত্র আলি সফদার বলেন, ‘ওই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোক অভিযোগ এনেছেন এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি এটাও জানান এই ঘটনা প্রথম নয়। বাট নিজেকে চিকিৎসক বলে আগেও পরিচয় দিয়ে রোগীর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.