লখনউ: দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের (Corona) তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও, থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাঁধ সেধেছে দেশের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে নেই শয্যা, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেনও।

এহেন সংকটজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে দিনরাত এক করে লড়াই করে চলেছেন প্রথম সারির করোনা (Corona) যোদ্ধারা। একেবারে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধার তকমা পাচ্ছেন চিকিৎসক (Doctors), নার্স (Nurse) সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে এই সংকটকালে অসহায়দের সাহায্যে পিছিয়ে নেই পুলিশ আধিকারিকরাও। সেখান থেকেই একেরপর এক উঠে আসছে কুর্নিশ জানানোর মতো ঘটনা।

সম্প্রতি একটি ছবি (Viral Pic) সামজিক মাধ্যমে নেটনাগরিকদের মন জয় করেছে। দেশের সংকটকালে গৃহহীনদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, চারিদিকে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ঠিক মতো খেতেও পাচ্ছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে এক গৃহহীন মহিলাকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে নেটিজেনদের মন জয় করে নিলো উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিক। ছবিটি টুইটারে শেয়ার হতেই ছয় হাজার লাইক এবং ৫০০ রিটুইট পেয়েছে।

অন্যদিকে, আরও এক পুলিশ আধিকারিক যিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Second Wave) মৃত্যুবরণ করা রোগীদের শেষকৃত্যে সাহায্য করে চলেছেন নিরলস ভাবে। করোনায় যে সমস্ত মৃতের পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করে, এই পুলিশ আধিকারিক তাদের দাফন থেকে শেষকৃত্যের যাবতীয় বন্দোবস্ত করে।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আগেই তার আরও একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশ আধিকারিক শেষকৃত্যের জন্য শ্বশানে উপস্থিত অ্যামবুলেন্স থেকে এক করোনায় মৃত দেহ নামিয়ে চিতার ধারে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ওই পুলিশ আধিকারিক দিল্লি পুলিশের এএসআই। তিনি শ্মশানে সুষ্ঠু ভাবে দাহ সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের দ্বারা কর্তব্যরত ছিলেন। তবে অত্যন্ত হৃদয়চুম্বী ঘটনা হল। ওই পুলিশ আধিকারিকের মেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সম্প্রতি। কিন্তু তিনি শ্মশানে মানুষজনদের সাহায্য করার জন্য মেয়ের বিয়েই থামিয়ে দেন বলে জানা যাচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.