স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ জানাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে চিঠি দিচ্ছেন বাংলার বিজেপির ১৮ জন সাংসদ। সেখানে হাজির থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।

বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে রাজনৈতিক হিংসা।  যার জেরে ঘরছাড়া বিজেপির বহু কর্মী। সঙ্গে তাদের অভিযোগ, রাজ্যে ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে  আলোচনার জন্য শুভেন্দুকে দিল্লিতে তলব করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে৷ আজ, মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও।  রাজ্যে শাসক দলের মোকাবিলা করে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার রূপরেখাও ঠিক হবে দিল্লিতে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। আলোচনা হতে পারে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে।

আরও পড়ুন: পাসপোর্টের সঙ্গে থাকতে হবে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট, বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম

উল্লেখ্য, এরাজ্য শুভেন্দু অধিকারীও যথেষ্ট চাপে রয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাঁর বিরুদ্ধেও ত্রিপল লুটের অভিযোগ উঠেছে। কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রিপল লুটের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শুভেন্দু, সৌমেন্দু সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।  দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। এই ব্যাপারে অবশ্য শুভেন্দু বা সৌমেন্দুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ নয় বরং পরামর্শই দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ না করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করব গঠনমূলক আলোচনা করুন। কুৎসা না করে বিরোধী দলনেতার কাজ করুন।’’

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দিন দুই আগে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ইয়াস (Yaas) বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে (Tajpur) গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)৷ তিনি বলেন, ‘নদীবাঁধ তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে৷ দুর্নীতি করে অন্য় দলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে (Chief Minister) বলব ব্যবস্থা নিতে৷’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.