মঙ্গলবার শাহ, বুধবার মোদীর সঙ্গে বৈঠক
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। বৈঠকে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি এবং সংগঠন নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খরব। লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। অন্যদিকে বুধবার শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক
দিল্লিতে মোদী-অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করা ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা এবং দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেকেই এবার পুরনো দলে ফিরেছেন এবং ফিরতে চাইছেন। সেই পরিস্থিতির কথাও উঠে আসতে পারে আলোচনায়। ইতিমধ্যে দলের নিচুতলার কর্মীদের নিরাপত্তা নেই, এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, রাজ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠে গেলে বিজেপি যেমন রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তেমনই এই রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদরা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কথা হতে পারে পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের ফাঁসানো নিয়েও
শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফরে তিনি, তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের ফাঁসানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে পুরসভার ত্রিপল চুরির অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সেই বিষয়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপও চাইতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
শুভেন্দুতেই ভরসা
এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকেই তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে তলব করা নিয়েও দলের অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ক্রমেই ভরসার জায়গায় হয়ে উঠছেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।