কলকাতা: ফের নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) একযোগে আক্রমণ সিপএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chkrabarty) । এবার করোনার (Corona) ভ্যাকসিনের (Vaccine) শংসাপত্রে (Certificate) ছবি নিয়ে দিদি-মোদীকে তুলোধনা এই বাম নেতার। টুইটে সুজন চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‘হয় মোদির, নয় দিদির। রাজা অথবা রানির কারুর একটা ছবি থাকতেই হবে? শেষমেশ করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটেও!! লজ্জাও করেনা!!’’

করোনার (Corona) টিকা (Vaccine) নিলেই শংসাপত্রে (Certificate) এবার থেকে এরাজ্যে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি। এরাজ্যে করোনার টিকা নেওয়ার পর এবার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র ছবি-সহ শংসাপত্র পাবেন টিকাগ্রহীতারা।

এর আগে একইভাবে করোনাভাইরাসের টিকা নিলে শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ছবি থাকত। এবার টিকাকরণের পর পাওয়া শংসাপত্রে থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে করোনার টিকাকরণ (Vaccination) শুরু হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। টিকাকরণের পর তাঁদের শংসাপত্রে এবার থাকছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

আগে করোনার টিকা নেওয়ার পর শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকত। ভোটের সময়ে যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর থবি-সহ টিকার শংসাপত্রের মাধ্যমে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল (Tmc) থেকে শুরু করে বিজেপি (Bjp) বিরোধী একাধিক দল বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়। করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শংসাপত্রে নরেন্দ্র মোদীর ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিভিন্ন দল।

আবারও সেই একই অভিযোগে সরব সিপিএম। করোনার ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকা নিয়ে এবার কড়া সমালোচনা করেছেন সুজন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রীকে ‘রাজা’ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রানি’ বলে বিঁধেছেন সুজন চক্রবর্তী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘হয় মোদির, নয় দিদির। রাজা অথবা রানির কারুর একটা ছবি থাকতেই হবে? শেষমেশ করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটেও!! লজ্জাও করেনা!!দিদি-মোদি দুপক্ষ মিলিয়েই নাগরিকদের কি ভাবে?? মানুষ কি রাজা-রানির রাজত্বের প্রজা নাকি!!’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.