বাঁকুড়া : করোনার (corona) ‘তৃতীয় ঢেউ- (third wave)আসার আগেই তা মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষজ্ঞের মতে, তৃতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশী আক্রান্তের সম্ভাবনা শিশুদের। আর ওই পরিস্থিতির কথা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিল বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর ব্লক পাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, একই সঙ্গে অক্সিজেন পরিষেবা যুক্ত ১০ শয্যার বিশেষ কোভিড ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা ১ থেকে বাড়িয়ে ২ করা হয়েছে।
বি.এম.ও.এইচ ডাঃ দেবজ্যোতি গোস্বামী এবিষয়ে বলেন, ‘করোনা টেস্ট ও ভ্যাকসিনের প্রদানের কাজের পাশাপাশি আইসোলেশান ওয়ার্ড চালুর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ‘পিডিয়াট্রিক’ চিকিৎসা পরিকাঠামোর জন্য জেলায় আবেদন জানানো হবে। হাসপাতালে ১০ শয্যার বিশেষ আইসোলেশান ওয়ার্ড তৈরীর কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র প্রায় সবই আছে, বাকি কিছু যা প্রয়োজন তা সরবরাহের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। যেকোন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকানোই তাদের কাছে প্রধান লক্ষ্য বলে তিনি জানান।’
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে কীভাবে নিজের সন্তানকে নিরাপদে রাখবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দার ও চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস৷
তাঁরা বলছেন, এই সময় বাচ্চাদের প্রোটিন-ক্যালোরি বাড়াতে হবে। কিন্তু বাইরের খাবার একেবারেই দেবেন না৷ বাড়িতে হালকা স্ন্যাক্স বানিয়ে দিন। চিকেন স্টু দিন৷ রুটির মোটা অংশ ছিঁড়ে গরম সবজির সুপে অথবা ডালে ডুবিয়ে নরম করে দিন।কমলালেবু বা মুসাম্বি লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে। এই সময় প্রচুর জল খাওয়ান। অন্তত চার-পাঁচ লিটার জল খাওয়ান। জল অবশ্যই ফুটিয়ে খাওয়াবেন৷ ডায়েরিয়া হলে ওআরএস খাওয়াতে হবে।
তাঁরা আরও বলেছেন, বাচ্চাকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই৷ বাইরে থেকে এসে বাচ্চার কাছে যাবেন না৷ যাওয়ার আগে নিজেরা স্নান করে পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবেন৷ বাড়ির বড়দের থেকেই বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি৷ সম্ভব হলে মাস্ক পড়ে যান৷ বাড়িতেও বাইরে থেকে আসা মানুষের সামনে গেলে মুখে মাস্ক পড়া উচিত।
খেয়াল রাখুন- আপনার সন্তান যেন জনসমাগমে থাকে না। বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা আপাতত বন্ধ থাক। মনে রাখবেন যত বেশি বাইরে মেলামেশা বাড়বে, ততই সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়বে। সন্তান ব্রেস্টফিড করলে মাকে এবং কেয়ারগিভারকে মাস্ক পরতে হবে। চোখ, নাক, মুখে হাত দিতে দেবেন না। কিছুসময় বাদে বাদে সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়ান এবং স্যানিটাইজ করাও অভ্যাস করান। কাশি কিংবা হাঁচির সময় নাক-মুখ ঢাকতে বলবেন। ঘরে হাইজিন মেনে চলা জরুরি৷ বাড়িতে বাচ্চা থাকলে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি৷ তাই ঘর সবসময় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.