যখন আমরা ওজন কমানোর চেষ্টা করি তখন অনেকেই মনে করেন সকালের ব্রেকফাস্ট (Breakfast) না খেলে হয়তো শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কম যাবে, এবং তার ফলে কমবে ওজন। সকালের ব্রেকফাস্টের পরিবর্তে অনেকেই এক কাপ চা (Tea) বা কফি (Coffee) খেয়ে নেন অথবা না খেয়েই থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যেস ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা পরিবর্তে হ্রাস করে। যার ফলে সহজে ওজন কমতে চায় না। কেন সকালে ব্রেকফাস্ট খাওয়া উচিত আসুন জেনে নেওয়া যাক

১. রাতে ঘুমনোর সময় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শরীরের মেটাবোলিজম (metabolism) এর মাত্রা কমে যায়। এর ফলে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হয়। তাই ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে কিছু খেয়ে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেলে মেটাবোলিজম বেড়ে যায় ফলে সারা দিন ব্যাপী ওজন কমার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে ডিম (eggs), ওটস (oats), উপমা, ইডলি এইগুলো খাওয়া যেতে পারে ।

২. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খেলে রাত্রে বেশি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা কমে। যারা সকালে কিছু খান না তাদের সন্ধ্যায় রাতে কার্বোহাইড্রেট (carbohydrate) খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

৩. সকালে ব্রেকফাস্টে ফাইবার (fiber) সম্বৃদ্ধ খাবার খেলে সারাদিন অস্বাস্থ্যকর ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এই ধরনের মিষ্টি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রধান কারণ। যার ফলে ওজন কমানোর সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।

৪. সকালের ব্রেকফাস্ট না খাওয়ার অর্থ হল স্বাস্থ্যকর প্রোটিন জাতীয় খাবার না খাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া। যদি দীর্ঘ সময় ধরে কেউ ওজন কমানোর পরিকল্পনা করে থাকেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করতে ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সবসময় প্রোটিন জাতীয় খাবার ব্রেকফাস্টে খাওয়া প্রয়োজন।