নয়াদিল্লি: চাকরির কোনো ভরসা নেই। আজ আছে কাল নেই। করোনাকালে অনেকেই চাকরি হারিয়েছে। অনেকের ব্যবসা ভেঙে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কী ব্যবসা (Business) করলে কম বিনিয়োগ করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যাবে তা নিয়ে মানুষের চিন্তার শেষ নেই। সেই উদ্বেগ দূর করবে স্যানিটারি ন্যাপকিনের (Sanitary Napkin) ব্যবসা। এর কোনো মরসুম নেই। সারাবছর ব্যাপক চাহিদা থাকে। স্বল্প বিনিয়োগ করেই প্রচুর আয় করা যাবে। এই ব্যবসা করতে সরকারি সুবিধাও পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ব্যবসা করতে ঠিক কত টাকা খরচ হবে

স্যানিটারি ন্যাপকিন ইউনিট ইনস্টল করতে খুব বেশি খরচ পড়ে না। এর ইউনিটটি ইনস্টল করতে মাত্র ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবসা শুরু করতে, সরকার মুদ্রা লোন (Pradhan Mantri Mudra Yojana) স্কিমের আওতায় স্বল্প সুদের হারে লোন দিয়ে থাকে। এই ব্যবসার মাধ্যমে প্রথম বছরে ১ লক্ষ ১০ হাজার মুনাফা পাওয়া যেতে পারে। তার পরের বছর থেকে লাভ বাড়তে থাকে।

প্রত্যেকদিন ১৮০ প্যাকেট উৎপাদনকারী ইউনিট স্থাপন করতে ব্যয় হবে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এর ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মুদ্রা লোন স্কিম (Pradhan Mantri Mudra Yojana)থেকে নেওয়া যেতে পারে। বাকি ১৫ হাজার নিজে বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তাছাড়া সরকার স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবসায়ের জন্যে একটি প্রজেক্ট তৈরী করেছে। প্রজেক্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যানিটারি ন্যাপকিন ইউনিটের জন্য সফট টাচ সিলিং মেশিন, ন্যাপকিন কোর ডাই, ইউভি ট্রিট ইউনিট, ডিফিব্রেশন মেশিন, কোর মর্নিং মেশিন স্থাপন করা হবে। সব মিলিয়ে দাম পড়বে ৭০ হাজার টাকা। মেশিনটি কেনার পরে কাঁচামাল গাম, প্যাকিং কভারের জন্যে ৩৬ হাজার মতন খরচ পড়বে।

১৮০ প্যাকেট উৎপাদনকারী ইউনিট যদি বছরে ৩০০ দিন চলে তাহলে ৫৪,০০০(১৮০x৩০০ = ৫৪,০০০) স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাকেট উত্পাদন করা যাবে। এ জাতীয় প্যাকেট তৈরিতে বছরে ব্যয় হবে প্রায় ৫.৯ লক্ষ টাকা। স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাকেট প্রতি ১৩ টাকা পাইকারি হারে বিক্রি করলে বিক্রয় মূল্য হবে ৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ লাভ হবে ১ লক্ষ টাকা।

এই ব্যবসাটি শুরু করতে, কোনও বড় কারখানা স্থাপন করার দরকার নেই, একটি ছোট্ট ঘরে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। স্যানিটারি ন্যাপকিনের একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে কেবল ১৬x১৬ বর্গফুট রুমে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ইউনিট ইনস্টল করা যাবে। সুতরাং করোনা সংকটে স্বল্প ব্যয়ে বেশি মুনাফা পেতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবসা যে বেশ লাভদায়ক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.