উজ্জ্বল মণ্ডল: রবীন্দ্র সরোবর। জন্মের সময় যার নাম ছিল ঢাকুরিয়া লেক (Dhakuria Lake)। এখনও লোকমুখে এই নাম বেশ প্রচলিত। এই লেক তরুণ-তরুণী, মধ্যবয়স্ক থেক বৃদ্ধ, সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়ও বটে। কিন্তু জানেন কি, এই রবীন্দ্র সরোবরকেই (Rabindra Sarobar) ঘিরে রয়েছে বহু ইতিহাস ঐতিহ্য এবং কিংবদন্তীরা।
দক্ষিণ কলকাতার মাঝে কীভাবে গড়ে উঠল এই লেক? তা জানতে গেলে বেশ কিছুটা সময় পিছিয়ে যেতে হবে। সাল ১৯২০-র পর কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (KIT) ১৯২ একর জলাজঙ্গল অধিগ্রহণ করেন। শুরু হয় প্রোজেক্ট। গড়ে ওঠে বৃহদাকার হ্রদ এবং উদ্যান। প্রথমে নামকরণ করা হয় ঢাকুরিয়া লেক। এরপর ১৯৫৮ সালে বদলে যায় নাম। নতুন নাম হয় রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar)।
বছরের পর বছর ধরে আজও এই সরোবরে (Lake) শোনা যায় পাখিদের কলরব। লেকের জলে মাছেদের লাফালাফি আর শহর-শহরতলি এমনকি গ্রাম থেকে আসা যুগলদের খুনশুটি।
এই রবীন্দ্র সরোবরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতার একমাত্র জাপানি বৌদ্ধ মন্দির (Buddhist Temple)। যে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। সরোবরের দক্ষিণাংশে আজও সেই মন্দির দেখা যায়।
এও শোনা যায় যে, একসময় নাকি টয় ট্রেনও (Toy Train) চলত ঢাকুরিয়া লেকে। ১৯৮৫ থেকে ৮৯ পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা চালু ছিল বলে জানা যায়। যার ট্র্যাক হ্রদের ধারে আজও কোথাও কোথাও রয়ে গেছে।
হ্রদের পশ্চিমদিকে গেলে আরেকটি রহস্যময় জিনিস দেখতে পাবেন। সেখানে রয়েছে কয়েকটি কামান। কিন্তু কোথা থেকে এল এই কামান? কামানের মালিকই বা কে? মনে করা হয়, এই কামানগুলি আসলে নবাব সিরাজদৌল্লার (Siraj Ud Daulah)। কোনো এক সময় খননকার্য চলাকালীন এই কামানগুলি উদ্ধার হয় বলে জানা যায়।
এমনই বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে রবীন্দ্র সরোবরকে (rabindra sarobar) ঘিরে। যে ইতিহাসকে বুকে জড়িয়ে আজও ঢাকুরিয়ার ওই বিশাল লেকটি তাকিয়ে থাকে। দেখে তার ধার দিয়ে ছুটে যাওয়া আগন্তুকদের। দেখে প্রেমিক প্রেমিকার খুনশুটি। আবার কোনো সময় নিরীহ নির্বিকার কিছু মুখও দেখে সে। যারা মানুষের কাছে কিছু পাওয়ার আর্তিতে দু’হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.