ক্রমশঃ সুস্থ হয়ে উঠছে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লি। রবিবারের পর ফের সোমবার দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ প্রায় একশো দিন পর হ্রাস পেল। ২ মার্চের পর সোমবার দিল্লিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩১ জন। স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও এই পর্বকে ধাপে ধাপে আনলকের দ্বিতীয় অধ্যায় বলেই ব্যাখ্যা করছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই পর্বে রাজধানী শহরে মেট্রো চালু হয়ে গিয়েছে সোমবার থেকে। জানা গিয়েছে, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলছে দিল্লিতে। একইসঙ্গে লকডাউনের বিধিনিষেধে আরও কিছু শিথিলতা এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানীতে সোমবার থেকে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে খোলা থাকবে বাজার দোকান। এর পাশাপাশি নয়ডা, গাজিয়াবাদ, বারাণসী, বরেলি সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গাতেও শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে তিনি আশ্বস্ত করে জানান, তৃতীয় ওয়েভ মোকাবিলায় তৈরি দিল্লি সরকার।
বেসরকারি ক্ষেত্রের হাত ধরে গতি এসেছে বড় শহরগুলিতে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গ্রামাঞ্চলের করোনা টিকাকরণ
প্রসঙ্গত, কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিনের মধ্যেই লকডাউনের পথে হেঁটেছিল মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু সহ কিছু রাজ্য। এবার করোনা সংক্রমণ হ্রাস পেতেই ধীরে ধীরে সেইসব রাজ্যেও আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে আনলক হবে পাঁচটি পর্যায়ে। বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণের হার কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করছে আনলক প্রক্রিয়া। মুম্বইতে সোমবার থেকে রেস্তোরাঁ ও অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যের দোকান খুলছে। অপরদিকে, বারাণসী, মুজফ্ফরনগর, গৌতম বুদ্ধ নগর ও গাজিয়াবাদে সোমবার থেকে দোকান বাজার খোলার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে কোনও দোকানই পাঁচদিনের বেশি খোলা রাখা যাবে না, সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হবে। রাতে ও সপ্তাহের শেষে আগোর মতোই জারি থাকবে কার্ফু।