নামখানা: সুন্দরবনে (Sundarban) ফের বাঘের (Tiger) হানায় প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর (Fishermen) । সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকার মোল্লাখালির (Mollakhali) ঘটনা। কাঁকড়া ধরতে ছেলে ও পড়শি আরও এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের খাঁড়িতে গিয়েছিলেন আনন্দ ধর নামে ওই মৎস্যজীবী। একটি ছোট নৌকা করে তাঁরা বেরিয়েছিলেন। নদীতে কাঁকড়া ধরা শুরুও করেছিলেন তাঁরা।

মহূর্তে জঙ্গলের ঝোপ থেকে আনন্দ ধরের উর ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ণবয়স্ক একটি বাঘ। তাঁর ছেলে ও সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী ব্যক্তি ছুঁচলো রড দিয়ে বাঘকে পাল্টা আঘাত করেন। আনন্দকে ছেড়ে ফের জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এরপর আনন্দ ধরকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসেন তাঁর ছেলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়।

বাঘের হানায় ফের এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু। মহামারীর (Epidemic) কালে উপার্জন তলানিতে। বাইরে কোথাও গিয়ে যে কাজ করবেন, তারও উপায় নেই৷ বাধ্য হয়েই কাঁকড়া ধরতে ফের পাড়ি সুন্দরবনের জঙ্গলে। ছেলে ও প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে নিয়ে ছোট নৌকায় চেপে সুন্দরবনের মোল্লাখালির খাঁড়িতে কাঁকরা ধরতে গিয়েছিলেন আনন্দ ধর। নীচু হয়ে কাদা থেকে কাঁকড়া ধরছিলেন তাঁরা।

কিন্তু পাশের ঝোপে কখন যে ওঁত পেতে ছিল দক্ষিণ রায়, তার আঁচ পাননি কেউই। মুহূর্তে বিশালাকায় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে আনন্দ ধরের উপর। টেনে হিঁচড়ে ওই মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাঘটি। বাবাকে বাঘ টেনে নিয়ে যাচ্ছে দেখে ধেয়ে যায় ছেলে। সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তিই ছুঁচলো লোহার রড দিয়ে বাঘের উপর হামলা করেন।

বারংবার হামলায় শিকার ছেড়ে জঙ্গলে পালায় বাঘটি। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হয়ে গিয়েছিল মোল্লাখালির কালীদাসপুরের বাসিন্দা আনন্দ ধরের। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মৎস্যজীবীকে এরপর ডিঙি নৌকায় তুলে নেন তাঁর ছেলে। গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় আনন্দ ধরকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। অকস্মাৎ এই মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। এদিকে, বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তাঁদের। তবুও রক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই এলাকায় তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন তা দেখা হচ্ছে।

সুন্দরবনে বাঘের হামলায় মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। গত সোমবার গোসাবার সাতজেলিয়ার ঝিলার জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ওই মহিলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। বাঘের থাবায় গুরুতরভাবে জখম হন ওই মহিলা। সঙ্গীরা কোনওমতে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। যদিও পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.