দলবদলুদের পছন্দ করেনি সাধারণ মানুষ
গত বছর তিনেকে বিজেপিতে বিভিন্নদল থেকে যোগ দেওয়া ১৮ জন বিধায়ককে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জয় পেয়েছেন এবারের নির্বাচনে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারী, হলদিয়া থেকে তাপসী মণ্ডল, কোচবিহারের মিহির গোস্বামী। বাকি ১৩ জন পরাজিত। তবে এঁদের হার প্রসঙ্গে অনেকেই বলছেন, সাধারণ মানুষের সামনে এইসব নেতাদের সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য ছিল। অনেকেই দলবদলুদের মেনে নিতে পারেননি। এই তালিকায় রয়েছেন, শুভ্রাংশু রায়, সব্যসাচী দত্ত, সুনীল সিং, শীলভদ্র দত্ত, অরিন্দম ভট্টাচার্য. দীপর হালদার, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
পাঁচজন ঠিক করে নিয়েছেন ভবিষ্যত
ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূলের পাঁচ বিধায়ক যাঁরা গত ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা পুরনো দলে ফেরত যাবেন বলে ঠিক করে নিয়েছেন। অন্যদিকে বলা যেতে পারে বিজেপির সঙ্গে তাঁরা সম্পর্ক ত্যাগ করারল কথা জানিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, বাচ্চু হাঁসদা, অমল আচার্য।
দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছেন যাঁরা
ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছেন, মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়। এছাড়াও সল্টলেকের সব্যসাচী দত্ত কিংবা ডোমজুড়ের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটের ফল বেরোনার পর থেকে সেরকমভাবে দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে থাকতে দেখা যায়নি। বিজেপির থেকে তৃণমূলের নেতারা ভাল বলতে শোনা গিয়েছে উত্তরপাড়ার প্রবীর ঘোষালকে। দলে খোঁজ না পাওয়া গেলেও শিবপুরের জটু লাহিড়ী অবশ্য বলেছেন, তিনি বিজেপিতে ফেরত যেতে চান না।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রাক্তন বিধায়ক, যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই
শুধু এঁরাই নন, নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া, এবারের নির্বাচনের পরে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া অনেকের সঙ্গেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের যোগাযোগ নেই বলেই জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন, কালমিনির উইলসন চম্প্রামারি, নাগরাকাটার সুক্রা মুণ্ডার মতো নেতারা।
ভিতরে দিলীপ ঘোষ! হুলস্থুল কাণ্ড, বাইরে থেকে নামিয়ে দেওয়া হল বিজেপি পার্টি অফিসের শাটার