কাঠমান্ডু: ভারতের সাথে তৈরি হওয়া ‘ভুল ধারণা’ দূর হয়েছে। এবার তাই ভারতকে আবার কাছে টানতে চাইছেন নেপালের (Nepal) সংকটগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K. P. Sharma Oli)। করোনাকালে ভারতের (India) সাহায্য ঠিক কতটা প্রয়োজন, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারতের সাথে ভুল ধারণা দূর হয়েছে। দুই দেশের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, দুই দেশকেই এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য ভারতের থেকে সেভাবে সাহায্য মেলেনি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) থেকে আরও সাহায্য চান ওলি (K. P. Sharma Oli)।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময়ই ওলি (K. P. Sharma Oli) স্বীকার করে নেন যে, দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সত্যিই তৈরি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
গত মাসেই টিভিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা ঐতিহাসিক সমঝোতা, নকশা এবং বাস্তব দলিলের উপর ভিত্তি করে কূটনৈতিক মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
‘হ্যাঁ, একটা সময় ভুল হয়েছিল ঠিকই , কিন্তু সেই ভুল ধারণা এখন দূর হয়ে গেছে। আগের ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে এখন আর আটকে থাকতে চাই না, তার চেয়ে বেশি জরুরি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এগিয়ে যাওয়া।’ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একথা অকপটে স্বীকার করেন নেপালের ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K. P. Sharma Oli)। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য এই যে, তিনি এখন যেকোনো প্রকারে ভারতের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছেন।
ভারত-নেপাল সম্পর্ক(Indo-Nepal Relation) নিয়ে বলতে গিয়ে ওলি চিলি-আর্জেন্টিনার প্রসঙ্গও টানেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, তা অন্য কোনো দেশের সাথে নেই। এই ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে বলতে গিয়ে ওলি উল্টে প্রশ্ন করেন, ‘এক প্রতিবেশীই তো আরেক প্রতিবেশীর ভালবাসা এবং সমস্যা ভাগ করে নেব। চিলি আর আর্জেন্টিনার মধ্যে কি কোনো সমস্যা নেই? ’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.