মুম্বই: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra)স্যানিটাইজার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের। ১৫-২০ জন শ্রমিক ওই বিধ্বংসী আগুনেও মধ্যে এখনও আটকে আছে বলে খবর। তার মধ্যে কিছু মহিলা শ্রমিকও রয়েছেন। ফায়ার ব্রিগেডের ১২ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে পুনের (Pune) লাউসা রোডের উরভাদে গ্রামের এসভিএস অ্যাকোয়া টেকনোলজিস(SVS Aqua Technologies) নামে এক স্যানিটাইজার (Sanitizer) কারখানায় ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। মারাত্মক গতিবেগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায়। গলগল করে কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। ভেতরে বেশ কয়েক জন কর্মী এখনও আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেহেতু স্যানিটাইজার তৈরি করতে অ্যালকোহল ব্যবহৃত হয় এবং তা আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে ওঠে, সেই কারণে আগুন আরোও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১২ ইঞ্জিন। দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ চলছে। আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে জেসিবি মেশিন দিয়ে কারখানার দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে।
#Pune fire 17 is the death toll, rescue ops on https://t.co/RsJCBuM9Q4 pic.twitter.com/s8XrQvNBEP
— Utkarsh Singh (@utkarshs88) June 7, 2021
সূত্রের খবর, এসভিএস অ্যাকোয়া টেকনোলজিস (SVS Aqua Technologies) নামে ওই সংস্থায় এ দিন অন্তত ৩৭ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। দমকলের চেষ্টায় ২০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ১৪ জন কর্মীর মৃতদেহ বের করে আনা হয়েছে কারখানা থেকে। ভিতরে এখনও কারা আটকে আছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে দমকলবাহিনী।
দমকলের এক আধিকারিক জনিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন লাগার পরে থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮ টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। অন্যান্য কর্মীদের অনুসন্ধান চলছে। তিনি আরোও জানান যে, সংস্থাটি রাসায়নিক উত্পাদন এবং রফতানি করত।
রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ এই আগুনে মৃত ১৮ জনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.