নিম্নচাপের সঙ্গে রয়েছে ভরা কোটাল
আবহাওয়া দফতর জানিয়ে ১১ জুন নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এই নিম্নচাপ বাংলা এবং ওড়িশায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুকে ত্বরাণ্বিত করবে। বলা ভাল এই নিম্নচাপের সঙ্গেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে চলেছে বর্ষা। যার জেরে সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১১ জুন রয়েছে ভরা কোটাল। ২৬ জুনও ভরা কোটাল রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
এদিন বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী ১১ জুনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, একইসঙ্গে ভারী বর্ষার সঙ্গে রয়েছে ভরা কোটাল। একই ধরনের আরও একটি কোটাল ২৬ জুন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বর্ষার প্রস্তুতি বৈঠক
ইয়াসের ধাক্কা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এখনও বহু এলাকা জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে চলেছে। বর্ষা ঢুকে গেলে অনেক জায়গার পরিস্থিতির অবনতি হয়। তার মোকাবিলায় এদিন দুপুরে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট কিছু দফতরের মন্ত্রীরা ছাড়াও সব জেলার জেলাশাসকরা ছিলেন ওই বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ত্রাণবিলির দায়িত্ব প্রশাসনিক কর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে সমুদ্রতীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার বাঁধ মেরামতিতে অবহেলার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইয়াসের সময়ে
গতমাসের শেষের দিকে ওড়িশার উপকূলে ইয়াসের আছড়ে পড়ার সময়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ঝড় আছড়ে পড়ার সময় আর ভরা জোয়ার একই সময় পড়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনি কিংবা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশে ঝড়ের জেরে যত না ক্ষতি হয়েছে, তার থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ওইদিনের ভরা কোটালের জেরে। নোনা জল ঢুকে চাষের জমি লবনাক্ত হয়েছে, পুকুরের মাছ মরে গিয়েছে। কলকাতায় ভরা কোটালের সময়ে লকগেট বন্ধ থাকায় বেশ কিছু এলাকা প্লাবিক হতেও দেখা গিয়েছিল। তবে কোটালের সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে লকগেট খুলে দিতেই ভাটার সঙ্গে বৃষ্টির জলও বেরিয়ে যায়।