পরিবারতন্ত্র সহ একাধিক ইস্যুতে বিধানসভার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি বুয়া-ভাতিজা বলেও আক্রমণ করেছেন দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এরপরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র নিয়ে নিশানা বিজেপির। সেইসঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও দায়িত্ব পাওয়ার পরেই প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই পরিবারতন্ত্র দিয়ে বিজেপিকে কড়া জবাব দিলেন।
এদিন অভিষেক বলে, "যে দায়িত্ব পেয়েছি, তাতে আগামী দিনে দলের বিস্তারে আরও কাজ করব ।দলকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাব। তবে লিখে রাখুন, আগামী কুড়ি বছর রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদ আমি নেব না।"
অন্যদিকে অভিষেক আরও বলেছেন, বিজেপি যদি একান্তই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে তারা তো সংসদে এনিয়ে আইন করতে পারে। আইনে বলতে পারে, কোনও পরিবারের একজনের বেশি রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে পারবে না। যেদিন এই আইন হবে, তিনিই সবার প্রথমে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক।
তিনি বলেন, বিজেপি এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা করছে। শুধু তাই নয়, অভিষেক এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহের উদাহারণ টেনে আনেন। জয়ের ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব পদে থাকার প্রসঙ্গও তুলেছেন।
অভিষেক বলেছেন, কিন্ত অমিত শাহর ছেলে কি বলতে পারেন যে, তিনি আগামী ২০ বছরে বিসিসিআই সভাপতি হবেন না। অভিষেক বলেছেন, অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে বিজেপির নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। তাদের যে সমস্ত নেতার আত্মীয়রা রাজনীতিতে যুক্ত, তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার অভিষেককে 'ভাইপো' খোঁচায় বিদ্ধ করছিলেন, সেসময় তাঁর হয়ে মুখ খুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন আমার খারাপ লাগে যে আমার জন্য ওকে বারবার খারাপ কথা শুনতে হচ্ছে।
এমনকি বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, সাহস থাকলে আগে বাংলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। যদিও এবারের বিধানসভা ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল। আর সেই লড়াইয়ে বিজেপিকে গোল দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন অভিষেক।
আর এরপরেই জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেই অভিষেককে ঠেলে দিলেন মমতা।