১০ মে থেকে বন্ধ ছিল পরিষেবা
প্রসঙ্গত, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল গত ১০ মে থেকে। কোভিড-লকডাউনের কারণে মেট্রো বন্ধ রাখা হয়। যা প্রথম কার্যকর করা হয় ১৯ এপ্রিল এবং এরপর শহরের সরকার এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে থাকে। মেট্রো পরিষেবা আংশিকভাবে পরিচালিত হচ্ছিল শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার জন্য। কিন্তু ১০ মে থেকে করোনা কেস বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। সোমবার থেকে মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হয় সকাল ৬টা থেকে।
ঘন ঘন ট্রেন পরিষেবা
মেট্রো কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছেন যে অর্ধেক ট্রেন চলবে তবে বিভিন্ন লাইনে ৫ থেকে ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন পাওয়া যাবে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেশ পরিষেবায় শিথিলতা ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে অর্ধেক ক্ষমতা নিয়ে মেট্রো পরিষেবা ও মার্কেটের ভেতরের দোকান ও শপিং মল ৭ জুন থেকে জোড়-বিজোড় নীতিতে খোলা পুনরায় খোলা হবে। মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিলেন যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতির পর শহরের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
বুধবার থেকে সম্পূর্ণভাবে চলবে ট্রেন
প্রায় আড়াই মাস পর রবিবার দিল্লিতে দৈনিক করোনা কেস সনাক্ত হয়েছে ৩৮১টি এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। অন্যদিকে পজিটিভ কেসের হার ০.৫ শতাংশ। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বুধবার থেকে সম্পূর্ণভাবে পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে ট্রেনগুলি চলবে এবং লকডাউনের আগে ট্রেন যেভাবে চলত সেরকমই ঘন ঘন পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। যাত্রীদের একটি আসন ছেড়ে ছেড়ে বসতে হবে এবং দাঁড়িয়ে থাকার কোনও বিধান সেখানে নেই। মেট্রো কর্তৃপক্ষের মতে, এই হিসাব মেনে চললে সাধারণ দিনের উপলব্ধ ক্ষমতার ১০-১৫ শতাংশ হবে।
কোভিড বিধি মেনে চলা
সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে তাঁরা যেন কোভিডের যথাযথ আচরণবিধি মেনে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহায়তা করেন। মেট্রোর তরফ থেকে এও বলা হয়েছে যাত্রীরা যেন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বেশ খানিকটা সময় হাতে নিয়ে বের হন এবং মেট্রো স্টেশনের ভেতর মাস্ক পরে থাকা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলি যেন মেনে চলেন।