শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানোর প্রসঙ্গ উত্থাপন তথাগতর
অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের রাজনৈতিক উত্থানকে এদিন তুলোধনা করছেন তথাগত রায়। এর আগেও বারবার সায়নী ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক হয়েছে। ভোটের আগেও হয়েছিল। এবার তিনি তৃণমূল যুব সভানেত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরও সেই পুনর্মুষিকভবঃ। অর্থাৎ শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানোর প্রসঙ্গ তুললেন তিনি। সেই সঙ্গে তথাগত রায় এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
|
সায়নীকে সম্মান দিয়ে কী বলতে চাইছেন মমতা?
সোমবার দুপুরে টুইটে তথাগত রায় লেখেন- শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরিয়ে (কবে পরিয়েছিলেন সেটা অবান্তর) আমার মতন তাবৎ হিন্দুকে, বিশেষত শিভভক্তদের চরম অপমান করছেন সায়নী ঘোষ। তাঁকে উত্তরোত্তর সম্মান দিয়ে কী বলতে চাইছেন মমতা? টুইটে এই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। আবার নিজেই উত্তর দিয়েছেন।
মমতার জবানীতে জবাব দিলেন তথাগত নিজেই
জবাবে তথাগত রায় মমতার জবানীতে জানিয়েছেন- আমি ভোটে জিতেছি। এবার যা খুশি করব। তোরা অসহায় হিন্দুরা কী করতে পারিস? তথাগত রায়ের প্রশ্ন আবার মমতার জবানীতে জবাব দেওয়া নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছে। আবারও সেই শিবলিঙ্গে কন্ডোম আর হিন্দুত্বকে উসকে দিয়েছেন তথাগত রায়।
হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছেন সায়নী : তথাগত
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও তিনি সায়নী ঘোষের সঙ্গে একই ইস্যুতে বিবাদে জড়িয়েছিলেন। পুরনো পোস্ট নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিলেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ ছিল, শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরিয়ে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছেন সায়নী। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে ওঠে। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়েছিলেন সায়নী।
গুরুদায়িত্ব পেয়ে রাজনীতির আঙিনায় মন সায়নীর
সেই ঘটনার পরই সায়নীর উত্থান রাজনীতিতে। তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি টিকিট পান আসানসোল দক্ষিণের মতো কঠিন কেন্দ্র। তিনি সামান্য ব্যবধানে ভোটে হারলেও তাঁর প্রচার, জনসংযোগ মন ছুঁয়ে যায়। তারই ফলশ্রুতিতে তৃণমূলের যুব সভানেত্রীর পদ পেলেন সায়নী। গুরুদায়িত্ব পেয়ে এখন রাজনীতির আঙিনায় মন দিয়েছেন সায়নী।
সায়নীর হয়ে ব্যাট ধরলেন অভিষেক
হিন্দুত্বের ভাবাবেগে তৃণমূলের নবনির্বাচিত যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে সেই পুরনো ইস্যুতে নিশানা করেছেন তথাগত রায়। আর সেই প্রসঙ্গে এবার অভিষেক ব্যাট ধরলেন সায়নীর হয়ে। তিনি বলেন, ভোটে হেরেও শিক্ষা হয়নি। এসব হিন্দু-মুসলমান করে কিস্যু হবে না। সব কেন্দ্রে এই প্রচার করেছে। তারপরও সব জায়গায় সেই হিন্দুরাই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছে।