দলবদলুদের নিয়ে কি জানালেন মমতা
বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় বসেছেন। আর এরপরেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মমতা। মনে করা হয়েছিল দলবদলু নিয়ে হয়তো এই বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন এই বৈঠকে দলবদলুদের নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। আজ সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামিদিনে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। সেখানেই দলবদলুদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর কাকে নেওয়া হবে আর কাকে না এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতাই।
বিজেপি বিধায়করা আসতে চাইছেন
বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপিতে বিদ্রোহ। একাধিক বিধায়কের খোঁজ নেই। এই অবস্থায় দলে কারা থাকছেন না কারা থাকছেন না তা নিয়ে ধোঁয়াশায় খোদ বিজেপি নেতৃত্বই। এই অবস্থায় চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, শুধু দলবদলুরা নয়, তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন একাধিক বিধায়কও। যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে তাঁদের টিকিটে জয় পেয়েছেন। তবে ঠিক কবে যোগদান পর্ব শুরু হবে তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে অভিষেকের মন্তব্য বিজেপির ঘরে বাড় আতঙ্ক।
যাঁরা সত্যিই অনুতপ্ত তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া যেতে পারে
শনিবার সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বৈঠকে দলবদলুদের ফেরানো নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। তবে বৈঠকের আগে শনিবার দলবদলুদের গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেন ফিরহাদ। তিনি বলছেন, যারা ভুল করেছেন বা যারা অনুতপ্ত তাঁদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলেই আমার মনে হয়।
এটা তো মন্দির নয়!
ফিরহাদ শনিবার এক সংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, "এটা দলের ব্যাপার। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমাদের সবাইকে মানতে হবে। যারা দলে ফেরার জন্য আবেদন করেছে তাঁদের ক্ষমা ঘেন্না করে দিলে ভাল হয়। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। আজকে গেলাম কালকে ফিরে এলাম, এটা তো দল। এটা তো মন্দির নয়, যে যে ইচ্ছে, যখন ইচ্ছা এসে ঘণ্টা বাজিয়ে যাবে। তবে, আমি বলব, যারা ভুল করেছে, যারা অনুতপ্ত, তাঁদের কিছুদিন সময় দেখে নিশ্চয় একটা সময় ক্ষমা করবেন। তবে, আমি নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। বা সিদ্ধান্ত জানাতে পারি না। কারণ আমি দলের অনুগত সৈনিক।
মমতাকে খোলা চিঠি
ভোেট বিজেপির সমীকরণ উল্টে দিয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০ বেশি আসনে বিপুল জয়। তারপরেই অভিমানী সোনালি মন বদলান। খোলা চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাতে তিনি লিখেছেন, 'আমি অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, সেটা আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি, মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমন আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে,বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।' শুধু সোনালিই নয়, ইতিমধ্যে একাধিক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-নেত্রী দলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মমতাকে। এমনকি রাজীব-মুকুলের রায়ের মতো মাথারাও নাকি তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এমনটাই সূত্রের খবর।