গত বছরের নভেম্বর থেকে তিনটি কৃষি আইনের বিরোধীতা করে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্ত সহ একাধিক সীমান্তে প্রতিবাদ করে চলেছেন দেশের কৃষকরা। প্রায় ৬ মাসের ওপর তাঁরা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে চলেছেন। এবার তাঁদের এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য রবিবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানার টোল প্লাজা শম্ভু সীমান্ত থেকে কৃষকদের ট্রাক্টর নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। রবিবার ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের (চারুনি) সভাপতি গুরনাম সিং চারুনি তাঁর শতাধিক সমর্থকদের নিয়ে দিল্লির দিকে রওনা হন।
২০২০ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে হরিয়ানার কৃষকরা 'দিল্লি চলো’ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, এদিনের পদযাত্রা সেই দিনটার কথাই স্মরণ করালো। তবে নভেম্বরের মতো এবার কৃষকদের হরিয়ানা পুলিশ কোনওভাবে আটকায়নি। রবিবার সকালে আম্বালা জেলার শতাধিক কৃষক শম্ভু সীমান্তে একত্রিত হন এবং নিজেদের ট্রাক্টরে করে দিল্লির দিকে দুপুরের মধ্যে রওনা দেন।
এই দীর্ঘ ট্রাক্টের মিছিলের যাত্রা শুরু হওয়ার পর তিন–লেন বিশিষ্ট ৪৪ নম্বর জাতীয় হাইওয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং দিল্লির দিকে যাওয়া যাত্রীরা দীর্ঘ যানজটের সম্মুখিন হন। কৃষকরা সকলে সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের শক্তি যোগাতে যাচ্ছেন। যাঁরা নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদে অনড় রয়েছেন। সিঙ্ঘু ছাড়াও টিকরি ও জাজিপুর সীমান্তেও কৃষকরা আন্দোলনে বসেছেন।
চারুনি বলেন, 'আম্বালা জেলা থেকে ২৫০০ ট্রাক্টর দিল্লি দিকে যাত্রা করে এবং আরও কিছু ট্রাক্টর পাণিপথ থেকে ১০ জুন রওনা দেবে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সর্তক করা হবে এবং একটি জেলার কতটা উৎসাহ যা প্রদর্শিত হবে। গোটা দেশ থেকে যদি এ ধরনের আহ্বান আসে তবে দিল্লি অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে।’ তিনি জানান সরকারের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্রে বের হয়নি বহু মাস ধরে। তিনি বলেন, 'সরকার আমাদের (কৃষক) চেয়ে বেশি চিন্তিত।’