বাইরে চলা অশান্তির মধ্যে কীভাবে দরজা ভেদ করে গুলি লাগে ব্ল্যাকবোর্ডে? শীতলকুচি কাণ্ডে চিন্তা বাড়ছে সিআইডির

শীতলকুচির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়! কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় ফিরেই ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। উল্লেখ্য, চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ভোট ছিল শীতলকুচিতে। সেখানকার জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে সকালে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়।

সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালায়। আর তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন। ঘটনার প্রকৃত সত্য সামনে তুলে আনা হবে বলে আশ্বাস দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরেই শীতলকুচির ঘটনার পরেই তদন্তভার নেয় সিআইডি।

সিআইডির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ইতিমধ্য শীতলকুচিতে গিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মান করেছে সিআইডি। আর তাঁদের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সিআইডি রিপোর্ট পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাইরে গণ্ডগোল হলেও বুথের ভিতর দরজা ভেদ করে গুলি ঢুকে যায়। গুলি লাগে ব্ল্যাকবোর্ডেও। বাইরে অশান্তি হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ভিতরে গুলি গেল! সেটাই এখন বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে তদন্তকারীর কাছে। বুথের বাইরে অশান্তি হল, গুলি চলল। কিন্তু কীভাবে সেটা লাগল ব্ল্যাক বোর্ডে তা খতিয়ে দেখতে মরিয়া ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিম। সোমবার ঘটনাস্থলে যাবেন বিশেষজ্ঞরা।

ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিম

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিমের আধিকারিকরা। কীভাবে গুলি বুথের ভিতর দরজা ভেদ করে ঢুকে গেল তা খতিয়ে দেখছেণ আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেণ সিআইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ওই বুথের ভিতরেও গুলি ঢুকে গিয়েছিল। ব্ল্যাকবোর্ডে গুলি লাগে। বাইরে অশান্তি হলেও দরজা ভেদ করে কীভাবে ভিতরে গুলি গেল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। তিন সদস্যের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে। ঠিক কী ধরনের গুলি চলেছিল সেদিন, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে আরও একবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে।

একাধিক জেলা আধিকারিককে জেরা

ইতিমধ্যে থানার ওসি থেকে একাধিক পুলিশ আধিকারিককে জেরা করেছে সিআইডি সিট। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়াণদের গুলি চালিয়েছিল। তাঁদের জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিটের আধিকারিকরা। সেই মতো তলবও করা হয়। কিন্তু এখন বাহিনীর তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আদালতে যাওয়ারও প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। অশান্তির নিরিখে ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিরোনামে চলে আসে শীতলকুচির জোরপাটকির ১২৬ নম্বর বুথ। গুলিবিদ্ধ হয়ে একে একে প্রাণহানি হয় চারজনের। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, তিনজনের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তবে একজনের শরীরে মিলেছে স্প্লিন্টার। সিআইএসএফ যদি গুলি চালায় সেক্ষেত্রে কীভাবে স্প্লিন্টার এল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর সেখানেই বাহিনীর জওয়াণদের জেরা করার প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

সিট গঠন করে সিআইডি

শীতলকুচির ঘটনায় ইতিমধ্যে সিট গঠন করেছে সিআইডি। ডিআইজি সিআইডি-র নেতৃত্বে চার সদস্যের সিট গঠন করেছে সিআইডি। আর এই স্পেশাল টিম অর্থাৎ সিট শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত করবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তদন্তের শুরুতেই মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী অফিসার মলয় বোসকে তলব করে সিআইডি নেতৃত্বাধীন সিট। জানা যাচ্ছে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কেনই বা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হল সমস্ত বিষয়ে তদন্তকারীরা অফিসারের কাছ থেকে সিট জানার চেষ্টা করবে বলে জানা যাচ্ছে।

More COOCHBEHAR News  

Read more about:
English summary
cid and ballistic team is going to sitalkuchi on monday