দোহা: এই ভারতীয় দল যে কতোটা সুনীল ছেত্রী(Sunil Chhetri) নির্ভর সোমবার ফের একবার তা প্রমাণ হয়ে গেল। ছেত্রী জ্বলে উঠতেই জ্বলে উঠল ভারত(Team India)। চলতি বিশ্বকাপ যোগ্যতা-অর্জন পর্বে(WC Qualifier) অধিনায়কের জোড়া গোলেই প্রথম জয় পেল ভারত। যদিও বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্ব এখন ভারতের কাছে অনেক বেশি করে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা-নির্ণায়ক পর্ব(Asian Cup Qualifier) হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার বাংলাদেশের(Bangladesh) বিরুদ্ধে পদস্খলন সরাসরি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছনোর ব্যাপারে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দাঁড় করিয়ে দিত। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না বিশ্ব ফুটবলের সক্রিয় দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলস্কোরার।
সুনীল ছেত্রী এমন সময় জ্বলে উঠলেন যখন তাঁর দলের তাঁকে অনেক বেশি করে প্রয়োজন ছিল। আর সুনীলের অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্সেই ভারত সরাসরি এশিয়ান কাপের পরবর্তী রাউন্ডের যাওয়ার ব্যাপারে বড়সড় অ্যাডভান্টেজ। আগামী ১৫ জুন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের(Afghanistan) বিরুদ্ধে নিদেনপক্ষে ড্র করলেই হবে সন্দেশ(Sandesh Jhingan)-গুরপ্রীতদের(Gurpreet Singh Sandhu)। কাতার ম্যাচের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন স্টিম্যাচ(Igor Stimac)। প্রথম লেগে যুবভারতীতে আদিল খানের(Adil Khan) শেষ মুহূর্তের গোলে এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার বাঁচিয়েছিল সুনীলরা।
তবে র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকে বেশ আক্রমণাত্মক ছিল ভারত। প্রথমার্ধে কয়েকটি ক্ষেত্রে গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েও গোল করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ব্র্যান্ডনের(Brandon Fernandes) থ্রু-বল ধরে বক্সে প্রবেশ করে গিয়েছিলেন মনবীর সিং(Manvir Singh)। বিপক্ষ গোলরক্ষক আনিসুর গোল ছেড়ে বেড়িয়ে এলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পঞ্জাব স্ট্রাইকার। ৩৫ মিনিটে ব্র্যান্ডনের কর্নার থেকেই চিংলেনসানার(Chinglensana Singh) জোরালো হেড গোললাইন সেভ করেন রিয়াদুল হাসান। নইলে তখনই এগিয়ে যায় স্টিম্যাচের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মহম্মদ ইয়াসির(Mohammed Yasir) আসেন উদান্তা সিং(Udanta Singh)-য়ের পরিবর্তে। বিপিনের(Bipin Singh) পরিবর্তে আশিক কুরুনিয়ানকে(Ashique Kuruniyan) নামিয়ে দেন সুনীলদের হেড কোচ। ৫৯ মিনিটে মনবীরের পরিবর্তে নামেন লিস্টন কোলাসো(Liston Colaco)। তবুও গোল না আসায় চিন্তা ক্রমশ দানা বাঁধছিল। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে অরক্ষিত শুভাশিস বোস(Subhashish BoWse) ফাঁকা গোলে বল রাখতে ব্যর্থ হন। যদিও সেটাকে হাফ-চান্সই বলা চলে। এর ছ’মিনিট বাদে অবশেষে মাথা দিয়ে বিপক্ষ রক্ষণের ডেডলক ভাঙেন অধিনায়ক। লম্বা স্প্রিন্ট টেনে আশিক কুরুনিয়ানের বামপ্রান্তিক ক্রস দুরহ কোন থেকে হেডে জালে রাখেন সুনীল ছেত্রী। গোল করে কোচের কাছে ছুটে যান তিনি এবং স্টিম্যাচ সুনীলকে স্নেহের চুম্বন করেন।
পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পড়শি দেশ। আফগানদের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে ৮৪ মিনিটে সমতা ফিরিয়েছিল তারা। কিন্তু এদিন সন্দেশদের টলাতে পারেননি জামালরা। উলটে সংযুক্তি সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুনীল ছেত্রী। সুরেশের(Suresj Singh) কাটব্যাক বক্সে রিসিভ করেন অরক্ষিত ছেত্রী। এরপর ডান-পায়ের কার্লিং শটে আন্তর্জাতিক সার্কিটে ৭৪তম গোলটি করে যান ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয়। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তানকে টপকে তৃতীয়স্থানে উঠে এল ভারত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.