কী নিয়ে বিতর্ক?
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে এক বিজেপি সমর্থক দিলীপ ঘোষকে সামনে পেয়ে অভিযোগ করেন, জেলা সভাপতিরা পাশে দাঁড়াচ্ছে না৷ মার খেতে হচ্ছে সাধারণ বিজেপি সমর্থকদের৷ এই শুনে হঠাৎ রেগে যান দিলীপ ঘোষ৷ সমর্থকটিকে তৃণমূল করার পরামর্শও দিয়ে বসেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দিলীপকে বলতে শোনা যায়, 'চেঁচাবে না, তোমার চেঁচানি শুনতে আসিনি আমি। কিনে নিয়েছো নাকি পার্টিটাকে! বিজেপি করলে করবে আর মার খাবেনা? তাহলে তৃণমূল করো।' এর পর ওই সমর্থককে বলতে শোনা যায়, 'আমরা যে পার্টির জন্য মারখেলাম? আমকে যে রাস্তায় ফেলে মারা হল, এই জেলা সভাপতি কোনও কথা শুনল না, সাহায্য করল না৷' এই বক্তব্যের উত্তরে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, 'তো কি হয়েছে সবাই মার খায়, আমরাও মার খেয়েছি। ছেড়ে দাও পার্টি।'
ওয়ানইন্ডিয়া বাংলার ইন্টারভিউতে এসে কী বললেন তথাগত
দিলীপের তৃণমূল করার পরামর্শকে খারিজ করে দিয়ে তথাগত বলেন, 'বিজেপি একটা জাতীয় দল৷ রাজ্যে যাদের ১৮টা এমপি আছে৷ কেন্দ্রে সরকার আছে৷ আমি মনে করি না এরকম দলের সমর্থকদের মার খেতে হবে। এবং মার না খাওয়ার জন্য তৃণমূল করতে হবে। এরপরই তথাগতবাবুকে জিজ্ঞেস করা হয়, 'আপনার কী মনে হয় না রাজ্যর ঘরছাড়া, আক্রান্ত বিজেপি সমর্থকদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিৎ ছিল দিলীপ ঘোষের? সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও তথাগত বাবু জানান, কর্মীরাই যে লোনও দলের সম্পদ৷
TMC-র সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক, 'গরুর গাড়ির হেডলাইড' বলে কটাক্ষ তথাগতর
স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপির আদি-মধ্য-সদ্য ফাটল!
দুর্দিনে বঙ্গ-বিজেপিকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তথাগত রায়, রাহুল সিনহা প্রমুখরা৷ আজ যখন পদ্মপালে হাওয়া লেগেছে তখন দলে অনেকটাই যেন ব্রাত্য রাহুল-তথাগতরা। অন্যদিকে বাংলায় পদ্মফুল ফোটানোর লড়াইয়ে দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুদের অবদান অস্বীকার করা অসম্ভব। দিলীপের হাত ধরেই বঙ্গে ১৮ আসনে পৌঁছেছে বিজেপি৷ স্বাভাবিকভাবেই দলের ও কর্মীদের অবিসংবাদি নেতা হয়ে উঠেছেন দিলীপ৷ কিন্তু এরপরও থেকেই শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে পা রাখা সদ্য বিজেপিরা৷ এদের মধ্য শুভেন্দু অধুকারীর মতো জনপ্রিয় মুখ ও রয়েছে। যার উপস্থিতকে অস্বীকার করছে না বিজেপি সমর্থকরা। আর দলে পা রেখেই চালিয়েও খেলছেন শুভেন্দু৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ভোটে হারিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। সূত্রের খবর আদর্শগত এবং পদ্ধতিগত সহাবস্থানে আসতে পারছে না বঙ্গ-বিজেপির এই আদি-মধ্য-সদ্য বিজেপি নেতারা। সেখান থেকেই দিন দিন বড় হচ্ছে সাংগঠনিক ফাটল!