নয়াদিল্লি: আশা জাগাচ্ছে দেশের করোনার (COVID-19) গ্রাফ। বহু প্রতীক্ষার পর দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা নেমে এল এক লক্ষে। মে মাসের গোড়ার দিকে ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ টপকেছিল চার লক্ষের গণ্ডি। সেখান থেকে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা কমতে কমতে এখন এক লক্ষে এসে পৌঁছেছে। মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিশাপ কাটিয়ে উঠবে দেশ।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৬৩৬ জন। রবিবারের তুলনায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। রবিবার ১ লক্ষের উপর ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৬০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন সেখান থেকে অনেকটাই নেমে এসেছে। এর পাশাপাশি এদিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। রবিবারের দেশে ২ হাজার ৬৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর সোমবারের হিসাব বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন সুস্থতার সংখ্য়া রবিবারের তুলনায় কমেছে। রবিবার সুস্থ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৩২ জন। আর সোমবার ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৯৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এই নিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ সুস্থতার সংখ্যা কমেছে দেশে।

এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। গত কয়েকদিনের মতো এদিনও দেশে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে। এই গ্রাফ বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ নিম্নমুখী। রবিবার ১৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৯৯ জন সক্রিয় করোনা রোগী ছিলেন দেশে। সোমবার সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ১ হাজার ৬০৯-এ। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৮০ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৮৬ জনের। মোট ২৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৮২ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

দিল্লির এইমসে (AIIMS) শুরু হতে চলেছে শিশুদের উপর কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ক্লিনিকাল ট্রায়াল। পাটনার এইমসে এই ট্রায়াল কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে দিল্লি এইমস। ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি এই COVID-19 ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা হবে এটি ২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের জন্য উপযোগী কিনা। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে তার টার্গেট হবে শিশুরা। তাই তাদের দ্রুত ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি। সেই লক্ষেই এগোচ্ছে ভারত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.