মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Sing Rajput)মৃত্যু রহস্য তদন্তে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করছেন অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। সুশান্তের বোন প্রিয়াঙ্কা সিং (Priyanka Singh) এবং তার স্বামী সিদ্ধার্থ তনওয়ার (Siddharth Tanwar) সুশান্তের সঙ্গে প্রায়ই মাদক সেবন করত। এবং সুশান্তকে মাদকের জোগানও দিত। এনসিবি (Narcotics Control Bureau/ NCB) কাছে এমনই দাবি করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। সম্প্রতি এনসিবির (NCB) চার্চশিট থেকে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
চার্চশিটে রিয়া বলেছেন, ‘গতবছর ৮ই জুন ২০২০ তে প্রিয়াঙ্কা একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে সুশান্তক। যেখানে প্রিয়াঙ্কা লিব্রিয়াম ১০ এমজি (Librium 10 mg), নেক্সিটো (Nexito) এগুলি তার থেকে সুশান্তকে সংগ্রহ করতে বলে। NDPS Act (The Narcotics Drug and Psychotropic Substances Act, 1985) অনুযায়ী এগুলি ড্রাগের পর্যায় পরে’। রিয়া আরও বলেন, প্রিয়াঙ্কা ডাক্তার তরুণ নামে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের প্রেসক্রিপশন দিয়েছিল সুশান্তকে। ওই ডাক্তারের সঙ্গে সুশান্তের কোনরকম কথাবার্তা ছাড়াই ওই প্রেসক্রিপশন দিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা।
রিয়া মনে করছেন ওই সমস্ত ড্রাগ গুলি নেওয়ার জন্যেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, সুশান্তের আর এক বোন মিতু গতবছর সুশান্তের মৃত্যুর কিছু দিন আগেই ৮ই জুন থেকে ১২ই জুন অবধি মুম্বাইয়ে সুশান্তের সঙ্গে থাকতে এসেছিল। রিয়ার কথায়, তার সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার আগে থেকেই সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিলেন।
গতবছর অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আচমকা মৃত্যুর পরেই, অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে রিয়া চক্রবর্তীর নামে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরেই সুশান্ত এবং রিয়া সম্পর্কে ছিলেন। দুজন একসঙ্গে থাকতেনও। সুশান্তের টাকার জন্যে তাকে মাদকাসক্ত করিয়ে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন রিয়া। এই অভিযোগ তুলেই রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুশান্তের পরিবার।
যদিও ওই অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন রিয়া। উল্টে, সুশান্তের মাদকাসক্ত হওয়া এবং মৃত্যুর কারণ হিসাবে রিয়া সুশান্তের পরিবারকেই দোষারোপ করছেন। সম্প্রতি এনসিবি গ্রেফতার করেছেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে (Siddharth Pithani)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.