লন্ডন: আট বছর আগে করা তাঁর বর্ণবাদ(Racist) এবং লিঙ্গবৈষম্যমূলক(Sexist) টুইটের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেন ইংরেজ ক্রিকেটার ওলি রবিনসন(Ollie Robinson)৷ এই নিয়ে মুখ খুললেন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন জো রুট (Joe Root)৷ ভবিষ্যতে এটা একটা শিক্ষা বলেও মনে করেন তিনি৷
প্রথম টেস্টে সতীর্থের পারফরম্যান্সের জন্য গলা ফাটিয়েছেন জো রুট(Joe Root)। রবিনসনের অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স অসাধারণ অ্যাখ্যা দিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। রুট জানান এই ধরনের ঘটনা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনা ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন ইংল্যান্ড টেস্ট ক্যাপ্টেন৷ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টেই সাত উইকেট নিয়েছেন৷ এছাড়াও ৪২ রান করে দলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন রবিনসন(Ollie Robinson)৷
লর্ডসে টেস্ট অভিষেকের ঠিক পরেই চরম আঁধারে ডুবেছে ইংরেজ পেসারের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। ১০ জুন থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টের জন্য তাঁর নাম বিবেচনা করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছে ইসিবি৷ স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলের শিবির ছেড়ে রবিনসনকে তাঁর কাউন্টি ক্লাব সাসেক্সে(Sussex) ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রুট জানান, ‘তাঁকে সাঝঘর ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সে নিশ্চই আপনাদের সঙ্গে কথা বলবে৷ ওর অনুশোচনা হয়েছে। আপনারা খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছেন ও সাজঘরে কী অবস্থায় ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের বিশ্বাস করতে পারি না। এটি কোনওভাবেই গ্রহণ করা যায় না। তবে ওলি আমাদের সাজঘরের একটা অংশ ছিল এবং আমরা ওকে সমর্থন করি।’
গত বুধবার ‘থ্রি-লায়ন্সে’র(Three-Lions) হয়ে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রবিনসনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। ওই ম্যাচের আগে ইংরেজ এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে ‘Moment Of Unity’ নামক একটি ক্যাম্পেনের শরিক হন ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে(Lord’s)। এই ঘটনার পরেই আট বছর আগে রবিনসনের একাধিক বৈষম্যমূলক টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রথমদিনের খেলার পর পুরনো টুইটের কারণে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন রবিনসন। রবিনসন(Ollie Robinson) জানিয়েছিলেন, ‘আমি লজ্জিত। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই আমি বর্ণবাদী কিংবা যৌনতাবাদী নই।’ কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.