কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এবার চরমে। ভোট পরবর্তী হিংসা, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিকবার টুইটে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইট (Tweet) তো কখনো রাজ্যের নয়া মুখ্যসচিবকে তলব করে চাপ বাড়িয়েছেন তিনি।
এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই বড়সড় অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এদিন তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে টুইট (Tweet) করেন। যেখানে তিনি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন।
ঘটনা ঠিক কী? তা মহুয়ার টুইট (Tweet) দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি রাজ্যপালের ৬ আত্মীয়কে ওএসডি পদে নিয়োগের অভিযোগ তোলেন। সেই টুইটে (Tweet) তাদের নাম এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে ঠিক কী সম্পর্ক, তাও তুলে ধরেন। টুইটে তিনি রাজ্যপালকে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) ‘আঙ্কেলজি’ বলে খোঁচা দেন মহুয়া।
And Uncleji- while you’re at it- take the extended family you’ve settled in at WB RajBhavan with you. pic.twitter.com/a8KpNjynx9
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) June 6, 2021
প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে এদিন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সোমবার তাঁকে তলব করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে গতকাল রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইট (Tweet) করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। শনিবার জগদীপ ধনকড়ের ট্যুইট, “প্রত্যেক দিনই অরাজক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে রাজ্য। সর্বত্রই প্রতিহিংসার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা রাজ্যে যে জায়গায় পৌঁছেছে, তা অকল্পনীয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। চারিদিকে লুঠ চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।”
এর আগেও টুইটে (Tweet) রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছিলেন মহুয়া। লিখেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি তখনই বদলাবে যখন আপনি দিল্লি গিয়ে অন্য কাজ খুঁজবেন’। ধনকড়কে তাঁর পরামর্শ, ‘এক, বিরোধীদের কী ভাবে আঘাত করতে হয়, সে বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হতে পারেন। দুই, অতিমারির সময়ে কী ভাবে লুকিয়ে থাকতে হয়, সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা হতে পারেন আপনি’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.