কেপ টাউন: গোটা বিশ্বে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Covid- 19)। এর মধ্যেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল গবেষকরা। তাদের গবেষণায় জানা গেল, এক এইচআইভি (HIV) পজিটিভ রোগীর মধ্যে ২১৬ দিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের (Covid- 19) সংক্রমণ বজায় ছিল। এমনকি ওই রোগীর শরীরেরই ৩০ বারের বেশি চরিত্র বদল করেছে করোনা ভাইরাস (Covid- 19)।

আর এই খবর প্রকাশিত হতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। কেননা এর আগেও বহুবার চরিত্র বদল করেছে করোনা (Covid- 19)। করোনার (Covid- 19) মিউটেশন নিয়ে গবেষণাও জারি রয়েছে। তা বলে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা বোধহয় কেউ আশা করেনি।

জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বাসিন্দা ওই রোগী। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ঠিক কীভাবে মারণ ভাইরাস (Covid- 19) ওই রোগীর শরীরে চরিত্র বদল করে? এবিষয়ে জানা যায় যে, করোনা ভাইরাস (Covid- 19) মোট ১৩ বার স্পাইক মিউটেশন ঘটায় ওই রোগীর শরীরে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই ফাঁকি দেয়। এর পাশাপাশি আরও ১৯টি মিউটেশন ঘটে আক্রান্ত মহিলার শরীরে।

এরপর থেকেই গবেষক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নতুন করে আশাও তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। কারণ গবেষকদের মতে, করোনা (Covid- 19) সংক্রমিত এইচআইভি (HIV) পজিটিভ ওই রোগীর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখলেই মিউটেশন সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্যই প্রকাশ্যে আসবে। এবং বহু প্রশ্নের উত্তরও খুঁজে পাওয়া যাবে।

তবে আক্রান্ত মহিলার শরীর থেকে এই মিউটেশন অন্য কারোর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে করোনা আক্রান্ত এইচআইভি (HIV) পজিটিভ মহিলাটি কিন্তু এখনও বেঁচে রয়েছেন।

আর এই বিষয়টি আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে চান গবেষকরা। কারণ এমন অদ্ভুত ঘটনা গবেষকদের নজরে আগে কখনও পড়েনি। যার জেরে কেবল গবেষক মহল নয়, এই কেসটি নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। অনেক বিশেষজ্ঞদেরও অবাক করেছে বটে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.