নয়াদিল্লি: পাকিস্তান ভিত্তিক ভুয়ো খবর ছড়ানো সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল ফেসবুক। ফেসবুকে সাম্প্রতিক সিআইবি (CIB) রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান ভিত্তিক ২৫টি ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্ট, ১২টি পেজ, ৬টি গ্রুপ এবং ২৮টি ইনস্টাগ্রাম (Instagram) পেজ সরানো হয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ।

এবিষয়ে ফেসবুক (Facebook) জানায় যে, এর পিছনে যারা যুক্ত রয়েছে তারা সকলেই তাদের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেছিল।

এক রিপোর্টে জানানো হয় যে, নেটওয়ার্কিং সাইটে মূলত পাকিস্তান এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা, হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করে ভারতকে তুচ্ছ করে তোলার চেষ্টা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সমর্থন, এবং সরকার-সমর্থিত চীন পাকিস্তান একোনমিক করিডোর (CPEC) ইনভেস্টমেন্ট প্রোজেক্টের প্রচার চালানো হয়।

এই ভুয়ো খবর ছড়ানো সংবাদমাধ্যমগুলিকেই চিহ্নিত করে ফেসবুক। এবং সেগুলিকে সরানোরও বন্দোবস্ত করা হয়।

২০১৬ সালে ‘সিজে পোস্ট’ (CJ post) নামে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়। তাদের অনুষঙ্গী ওয়েবসাইট cjpost.co.uk, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে তৈরি হয়, যেখানে এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্বন্ধিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত মোট ৬টি নিবন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি কাশ্মীরের সেখানকার সাধারণ মানুষকে লেলিয়ে দেওয়ার জন্য একাধিক উস্কানিমূলক পোস্ট করা হয়।

‘পুর্ভ ফাইলস্’ (Poorv Files) নামের আরেকটি পেজও অনবরত উস্কানিমূলক পোস্ট এবং ফেক খবর ছড়িয়ে থাকে। তাদের ভিডিওতে মূল লক্ষ্য ভারতের সাথে পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এমনকি এই পেজের ভিডিওতে যে সাংবাদিককে দেখা যায়, তার মুখে কেবল পাকিস্তানের জয়গান। তাদের প্রতিটি ভিডিওতেই থাকে পাকিস্তান সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

‘আসল বাত’ (Asaal Baat) নামের আরেকটি পেজও ঠিক একই কাজ ঘটিয়ে থাকে। অপপ্রচারের পাশাপাশি তারা ভারতের প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারকে প্রায়শই আক্রমণ করে।

গ্রাফিকার তরফ থেকে আরও জানানো হয় যে, বেশ কিছু ভুয়ো সংবাদমাধ্যম প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর সরকারকে নানা বিষয়ে আক্রমণ হানায়। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই উস্কানিমূলক। তাদের বেশিরভাগ পোস্টেই থাকে কাশ্মীর ইস্যু, ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা, এমনকি দেশের কৃষক বিক্ষোভও। সব ক্ষেত্রেই রঙ মাখিয়ে পরিবেশন করা হয় সেসব পোস্ট।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.