রিও ডি জেনেইরো: দেশজুড়ে ভয়াবহ কোভিড(COVID-19) পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় সাম্বার দেশে শুরু হতে চলেছে কোপা আমেরিকা(Copa America) ফুটবল উৎসব। আর্জেন্তিনা পিছিয়ে এলেও ব্রাজিল সরকার টুর্নামেন্ট আয়োজনে কোনও বিরোধীতা না করায় দেশের সরকার এবং ফুটবল ফেডারেশনের চরম ঔদাসিন্যে হতবাক সাধারণ মানুষ উগড়ে দিচ্ছেন ক্ষোভ। যে দেশের মজ্জায়-মজ্জায় ফুটবল, সেই দেশে আজ ফুটবলই প্রশ্নের মুখে। এমন সময় বোলসোনারো(Jair Bolsonaro) সরকারের চাপ আরও বাড়িয়ে দেশের কোপা আয়োজনের চরম বিরোধীতায় খোদ জাতীয় ফুটবল দল(Brazil National Football Team)।
শুক্রবার বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পর ব্রাজিল অধিনায়ক ক্যাসেমিরো(Casemiro) তাঁর গোটা দলকে কোপা আয়োজনের বিরোধীতায় এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ইকুয়েডর ম্যাচের পর জানিয়ে দিয়েছেন, কেবল ফুটবলার নয়, কোচ তিতেও(Tite) দেশে এই মুহূর্তে কোপা আয়োজনের চরম বিরোধী। টুর্নামেন্ট আয়োজন কিংবা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিয়ে দলের তরফে কী সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে ৮ জুন প্যারাগুয়ে ম্যাচের পর সবিস্তারে ব্যাখ্যা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অবস্থা বেগতিক দেখে ইকুয়েডর ম্যাচের আগেই জাতীয় দলের ফুটবলারদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে সেদেশের ফুটবল ফেডারেশন(Brazilian Football Confederation)। সেখানেই মোটামুটি চিত্রটা পরিষ্কার করে এসেছেন নেইমার-জেসুসরা। টুর্নামেন্ট বয়কট করার সিদ্ধান্ত তারা কার্যত নিয়েই ফেলেছেন। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে যাতে দলের ফোকাস নষ্ট না হয় সেজন্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফুটবলাররা। প্যারাগুয়ে ম্যাচের পর যা বিস্ফোরক হয়ে ঝরে পড়ার আশঙ্কা।
ইকুয়েডর ম্যাচের পর ক্যাসেমিরো স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের অবস্থান মনে হয় সকলের কাছেই স্পষ্ট। তিতে গোটা বিষয়টা হয়তো বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে আমরা আমাদের মতামত অবশ্যই প্রকাশ করব, তা সে ঠিক হোক কিংবা ভুল। সঠিক সময় আসলেই সব বলব আমরা। একজন বললেও সে দলের হয়েই বলবে। আমরা সকলে একসঙ্গে আছি। আমাদের সিদ্ধান্তও তাই সর্বসম্মত হবে।’
প্যারাগুয়ে ম্যাচের পর ক্যাসেমিরোরা যদি টুর্নামেন্ট বয়কটের কথা জানিয়ে দেন সেক্ষেত্রে কোপার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান CONMEBOL। কলম্বিয়া সরকার বিরোধী সংঘর্ষের জেরে এবং মারাদোনার দেশ কোভিডের কারণে কোপা আয়োজন থেকে সরে আসার পর বোলসোনারো সরকারের সম্মতিতেই সেদেশে টানা দ্বিতীয়বার কোপা আয়োজন করতে উদ্যোগী হয়েছিল লাতিন আমেরিকা ফুটবলের গভর্নিং বডি। কিন্তু হাহাকারের মাঝে কোপার মত ফুটবল উৎসবের আয়োজন যে দেশের মানুষকে এভাবে খেপিয়ে তুলবে তা বোধহয় আঁচ করতে পারেনি কোনওপক্ষই।
উল্লেখ্য, অতিমারিতে যুক্তরাষ্ট্রের(US) পর সর্বাধিক মৃত্যু দেখেছে সাম্বার দেশই। শুক্রবারও দেশে কোভিডের কারণে ব্রাজিলে মৃত্যু হয়েছে ১,৪৫৪ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা ছিল ৮৩ হাজারেরও বেশি। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.