ঢাকা: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) আসা ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ সেই ট্রাকের চালক ও খালাসীদের উপর থাকবে বিশেষ নজরদারি। কোনওভাবেই তাদের খোলামেলা ঘুরতে দেওয়া যাবে না। এমনই নির্দেশ জারি হয়েছে বাংলাদেশে।

গত কয়েকদিনে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরার (Satkhira) পরিস্থিতি চিন্তার। এখানে করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (Corona Indian Variant)ছড়িয়েছে। চলছে লকডাউন (Lockdown)। এই অবস্থায় সাতক্ষীরা দিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ। কিন্তু সীমান্ত বাণিজ্যের কারণে আসছে পণ্যবাহী ট্রাক। ভারতীয় চালক ও খালাসীদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল।

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক যাচ্ছে ভোমরা স্থলবন্দরে। সেখানে ট্রাক চালকদের ঘোরাঘুরি করার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

করোনার (Corona Virus) ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট মারাত্নক সংক্রামক। এই ধরণটি সীমান্তবর্তী বাকি জেলা ও উপজেলাতেও ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নতুন করে করোনা সংক্রমিতদের ৮০ শতাংশ ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। সবথেকে সংক্রমিত খুলনার সাতক্ষীরা ও রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সংক্রমণ রুখতে সাতক্ষীরায় চলছে লকডাউন।

সাতক্ষীরার ওপারে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। সেখানেও করোনা সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক। যদিও গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারতে সংক্রমণের হার কমেছে। বেড়েছে সুস্থতার হার। কিন্তু বাংলাদেশে সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health organization) সতর্কতা, করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টের প্রবল ঝুঁকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ।

সাতক্ষীরায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, সাতক্ষীরা হয়ে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারা গিয়েছে। সীমান্ত জুড়ে বিশেষ টহল চলছে। শনিবার অনুপ্রবেশের সময়একজন মহিলা পাচারকারী সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকায় রোগতত্ত্ব গবেষণাগার ও ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএস এইচআই) এর যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বাইরে ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর ও গাইবান্ধায় ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিত ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগী মিলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীর বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই।

পরিস্থিতির বিচার করে, ভারত সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় সীমান্তবর্তী সাত জেলা নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করা হয়। শনিবার থেকে সাতক্ষীরায় লকডাউন চলছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.