'সম্মান প্রদর্শন' করেও স্থগিতাদেশ!
সঠিকভাবে অনুমতি নেননি কেজরিওয়াল, স্থগিতাদেশ জারির বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য এমনটাই। যদিও অরবিন্দের বিবৃতি সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে। "একবার না, পাঁচবার অনুমতি নিয়েছি আমরা। যদিও আইনত কেন্দ্রের অনুমতির দরকারই ছিল না, আমরা শুধু সম্মান দেখিয়ে কেন্দ্রকে জানান দিয়েছিলাম", মত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কেজরিওয়ালের সটান প্রশ্ন, "সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী। আমি আপনার পদক্ষেপে অতিশয় ব্যথিত। আগামী সপ্তাহেই দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা, আর আপনি তার মাত্র ২ দিন আগে স্থগিতাদেশ জারি করলেন! কিন্তু কেন?"
দুয়ারে পিৎজা-স্মার্টফোন পৌঁছানো গেলে রেশনে 'না' কেন?
"কোভিড পরিস্থিতিতে দরজায় দরজায় পিৎজা, বার্গার হোক বা জামাকাপড় থেকে স্মার্টফোন, পৌঁছে যাচ্ছে সবই। তবে রেশন কেন দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছানো হবে না?" প্রশ্ন কেজরির। "সারা দেশে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু না করলে রেশনের দোকান থেকেই যে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটতে পারে, সে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গত মার্চে কেন্দ্রের তরফে সবুজ সংকেত মিললেও কীভাবে পুনরায় থামিয়ে দেওয়া হল এহেন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, সে বিষয়ে জোরদার প্রশ্ন উঠছে নানা মহল থেকেই।
প্রকল্প 'স্থগিত' নয়, চলছে 'পুনর্মূল্যায়ন'
অন্যদিকে প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন দিল্লির রাজ্যপাল অনিল বৈজাল। "দিল্লি সরকারের প্রকল্পকে একেবারে বর্জন করা হয়নি, বরং স্থগিতাদেশ জারি করে এই স্কিমের পুনর্মূল্যায়ন করছে কেন্দ্র", মত অনিল বৈজালের। "সাংবিধানিক ধারায় কোনোরকম বিধির লঙ্ঘন যাতে না হয় এবং বৃহৎ ক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব মানুষ যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা নির্বিঘ্নে পায়, তা সুনিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ", জানান রাজধানীর রাজ্যপাল।
কেন্দ্রের পদক্ষেপের পিছনে কী যুক্তি?
কেজরিওয়ালের মতে আইনি ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনো ক্ষমতা নেই এই প্রকল্প রুখে দেওয়ার। যদিও দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল বৈজাল জানিয়েছেন অন্য কথা! "যেহেতু খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থায় বদল আসছে, সেহেতু ২০১৩-র খাদ্য সুরক্ষা আইন মোতাবেক কেন্দ্রের অনুমতি আবশ্যক", জানান বৈজাল। পাশাপাশি কেজরিওয়াল সরকারের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লির রেশন সরবরাহকারীদের সংগঠন। ২০শে আগস্ট সেই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নেওয়া যাবে না সিদ্ধান্ত, মত আইনি আধিকারিকদের।
মমতা চাওয়াতেই দলের মুখ অভিষেক! তিনি সবসময়ই সৈনিক, বৈঠকের পরে আর কোন প্রতিক্রিয়া পার্থর