স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) চলাকালীন কোচবিহারের (Coachbihar) শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) সিআইএসএফ (Cisf) জওয়ানদের গুলিতে নিহত হন চার স্থানীয় যুবক। যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়৷  এই ঘটনায় এবার সিআইডির হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।  তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা মনে করছেন, নির্বাচনের দিন ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে চলছিল গণ্ডগোল। কিন্তু বুথ লক্ষ্য করেই চলেছিল গুলি, যা দরজা ভেদ করে ব্ল্যাকবোর্ডে লাগে।

শীতলকুচি কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বুথের বাইরে জটলা সরাতে গেলে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তখন আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয় বাহিনীকে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যদি বুথের বাইরেই সমস্যা হয়, তাহলে বুথের ভেতরে ব্ল্যাকবোর্ডে গুলির চিহ্ন এল কী করে?  কে গুলি  চালালো?‌ কোথা থেকে চালানো হয়েছিল?‌ কোন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে চালানো হয়েছিল?‌ এইসবই এবার তদন্ত করে দেখতে চাইছে সিআইডি। এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে সোমবার  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিমের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: পিৎজা ডেলিভারি হলে রেশন নয় কেন, কেন্দ্রকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন কেজরিওয়াল

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তার জেরে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল, আহতও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী৷ তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের পরই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিট তদন্তে নেমে ২ অফিসার–সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে তলব করে। আর তদন্তে ডিআইজি সিআইডি’‌র নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পুলিশের ডিজি-র (DG) থেকে বিস্তারিত জানতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission) । মানবাধিকার কমিশনে সম্প্রতি একটি পিটিশন (Petition) ফাইল করেন সমাজকর্মী তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাধাকান্ত ত্রিপাঠী। সেই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি-র কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.