স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) তীব্র আক্রমণ করলেন  তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)৷ তিনি বললেন, বিজেপির দালালের মতো কথাবার্তা বলছেন রাজ্যপাল। যা তাঁর একেবারেই শোভা পায় না। উনি একটা অতৃপ্ত আত্মা, মানসিক অবসাদগ্রস্থ বৃদ্ধ৷

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। শনিবার জগদীপ ধনকড়ের  ট্যুইট, “প্রত্যেক দিনই অরাজক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে রাজ্য। সর্বত্রই প্রতিহিংসার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা রাজ্যে যে জায়গায় পৌঁছেছে, তা অকল্পনীয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। চারিদিকে লুঠ চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।” ভোটের পর থেকে বিরোধীরা যে অত্যন্ত ভয়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন, সে কথাও টুইটে উল্লেখ করেন ধনকড়। তিনি  লেখেন, “বিরোধীদের ভোট দেওয়ার সাহস দেখানোর শাস্তি পাচ্ছেন অনেকে। বিরোধীদের সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে। এখনও পুরোদমে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। যা মানবতার লজ্জা। অথচ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। পুলিশও নীরব দর্শকে পরিণত হয়েছে।”  পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ট্যাগ করে জগদীপ ধনকড় লেখেন, বহু ঘটনা ঘটছে। কেউই জবাব দিচ্ছেন না। এরপরই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য চেয়ে সোমবার মুখ্য সচিবকে তলব করেছেন তিনি৷

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নারদ মামলায় রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরের বাইরে যা ঘটেছিল, তার প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।

রাজ্যপালের আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভোটের আগে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে নিজের সাংবিধানিক পদে মর্যাদার অবমাননা করেছিলেন রাজ্যপাল। ভোটের ফলাফলে হতাশাগ্রস্ত হয়েই রাজ্যপাল এ সব মন্তব্য করছেন বলে দাবি করেছেন কুণাল। রাজ্যপাল ধনকড়কে বিজেপির দালাল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।”

মুখ্যসচিবকে তলব করে রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তো দরবার করতে দেখা যায় না রাজ্যপালকে। ভোটের পর বিজেপি যে ভাবে কুৎসা চালাচ্ছে, তারই একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছেন রাজ্যপাল। উনি রাজনীতি করছেন।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.