ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States) অনুদান হিসেবে তাইওয়ানকে (Taiwan) দিতে চলেছে ৭৫০,০০০ কোভিড-১৯ এর টিকা। সম্প্রতি রবিবার এই ঘোষণা করেছেন মার্কিন সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ (US Senator Tammy Duckworth)। তিনি জানান, মহামারীর বিরুদ্ধে তাইওয়ানকে (Taiwan) সাহায্য করার জন্য আমেরিকার (US) এর তরফে প্রদান করা হবে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি।
তাইওয়ান নিজের দেশের করোনার স্পাইকের ওপর কাজ করছে। তবে বিশ্বব্যাপী টিকা সংকটে এই দেশটিকেও খানিকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাইওয়ানের ২৩.৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে টিকা পেয়ছে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ। যার মধ্যে আবার বেশির ভাগ মানুষই পেয়েছে শুধুমাত্র টিকার প্রথম ডোজটি।
কিছুদিন আগে তাইওয়ান সংক্ষিপ্ত সফরে যান ডাকওয়ার্থ। এই সফরে ডাকওয়ার্থ-এর (Duckworth) সহযাত্রী ছিলেন সিনেটর ড্যান সুলিভান (Dan Sullivan) এবং ক্রিস্টোফার কুনস (Christopher Coons)। তাইওয়ানে পৌঁছে রাজধানী তাইপির শহরতলীর সঙ্গশান বিমানবন্দরে একটি বক্তব্যও রাখেন এই মার্কিন সিনেটর। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন টিকা অনুদান দেওয়ার বিষয়টি।
মার্কিন সিনেটর একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেন, তাদের তরফে তাইওয়ানকে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য প্রথম গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাইওয়ানকে সেই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
অন্যদিকে আবার তাইওয়ানের (Taiwan) অভিযোগ, তাদের দ্বীপটিকে নিজের বলে দাবি করছে চিন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ভ্যাকসিন (vaccines) ব্যবহারে তাইওয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং (Beijing) ।
আমেরিকার এই অনুদানে খুশি তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উউ (Joseph Wu) । তিনি এই বিষয়ের কারণে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটরদের।
অন্যদিকে জাপান শুক্রবার বিনামূল্যে তাইওয়ানকে প্রদান করেছিল ১.২৪ মিলিয়ন টিকার ডোজ। জাপানের তরফে দেওয়া হয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসির করোনভাইরাস ভ্যাকসিনটি। এখনও পর্যন্ত দ্বীপটি যে পরিমাণ ভ্যাকসিন পেয়েছে এটি তার দ্বিগুণেরও বেশি।
২০১৯ সালে গোটা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে একাধিক মানুষ। আর সেই কারণে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে এখন এক হয়েছে গোটা বিশ্ব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.