প্যারিস: চিনের (China) বিরুদ্ধে মানবাধিকার (Human Rights) লঙ্ঘনের অভিযোগ নতুন নয়৷ সেখানে দমন করা হচ্ছে ছাত্রদের বিক্ষোভ। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যাতে হইচই না হয়, তার জন্যে নিজেদের আর্থিক ও কূটনৈতিক শক্তির সাহায্যে বন্ধও করছে বেজিং (Beijing)৷ এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্টও প্রকাশ হয়েছে। এবার চিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্যারিসে (Paris) আন্দোলনে সামিল হল এশিয়া, আফ্রিকার প্রচুর অভিবাসী জনগণ। এই প্রথম তারা আফ্রিকা ও এশিয়া মিটিং (AAA)-নামক এক সংগঠনের মাধ্যমে এক ছাতার নিচে এসে আন্দোলন করেছে। ১৪ টি ছোট ছোট আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠন এই প্রথম কোনো বৃহৎ আন্দোলনে সামিল হয়েছে।

চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (Chinese Communist Party)যেভাবে মানব অধিকার লঙ্ঘন করছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমা দেশগুলোকে অনুরোধ করেছে। এবং বেজিং অলিম্পিক ২০২২ বয়কটের ডাক দিয়েছে। হংকং, তিব্বত, জিনজিয়াং, তাইওয়ান, ক্যামেরুন, মায়ানমার এবং বেলুচিস্তান থেকে আগত চিনের জনগণ তাদের বাসস্থান ফিরে পেতে এবং শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এই আন্দোলনে অংশ নেয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির অত্যাচারে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করার পর এই আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে Boycott Olympics 2022 in China, China get out of Balochistan এর পোস্টারও দেখা যায়। আন্দোলনের মধ্যে ক্রিমসন ড্রাগনের প্রতিকৃতি বানিয়ে চিনা প্রশাসন যে কতটা নৃশংস ব্যবহার করছে তা পথনাটিকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়।

একজন উইঘুরে বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন যে, চিনের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এশিয়া, আফ্রিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে একত্রিত হতে হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন উন্নত দেশ। আমাদের উচিত সাম্রাজ্যবাদী নীতিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। আমাদের সম্মিলিতভাবে সংগ্রাম করা উচিত।

সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) এর নেতৃত্বাধীন সরকার মানবাধিকার নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কট হিসাবে দেখে৷ কিন্তু তারা যে ভাবে মানবাধিকারকে দমন করছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সেই খবর আসতে দিচ্ছে না, তাতে দুনিয়া জুড়ে মানবাধিকার আন্দোলন সঙ্কটের মুখে পড়বেI

উল্লেখ্য, চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যার তদন্তে একটি স্বাধীন প্যানেল লন্ডনের চার্চ হাউসে গঠিত হয়েছে। চারদিনের এই শুনানি গত ৪ জুন থেকে শুরু হয়েছে এবং চলবে ৭ জুন পর্যন্ত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.