বিজেপির পালে হাওয়া থাকা সত্ত্বেও সাফল্য এল না
বিজেপি ৮ জুন পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছ। এই পর্যালোচনা বৈঠক মূলক বাংলার নির্বাচন নিয়ে। কেন বিজেপির পালে হাওয়া থাকা সত্ত্বেও সাফল্য এল না, কোথায় খামতি ছিল? তা নিয়ে পর্যালোচনা তো হবেই, সেইসঙ্গে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ রদবদল ঘটিয়ে নতুন করে লড়াই শুরু করতে চাইছে।
তৃণমূল যখন ২০২৪-এর নির্বাচনের ঘূঁটি সাজাচ্ছে
একুশের নির্বাচনে বিরাট সাফল্য আসার পরও তৃণমূল কংগ্রেস রদবদল করেছে সংগঠনে। তারা এবার ২০২৪-এর লক্ষ্যে ঘূঁটি সাজাতে চাইছে। ২০১৯-এ আশাতীত ফলাফল হয়নি। তাই সেই ব্যর্থতা ঢেকে ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদী অ্যান্ড কোংয়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে বদ্ধপরিকর হয়েছে তৃণমূল।
ঘাটতি পূরণে সংগঠনে রদবদল করবে বিজেপি
এবার বিজেপিও কোথায় ঘাটতি রয়ে গিয়েছে, তা পূরণ করতে সংগঠনে রদবদল করবে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তাঁরা প্রথমে পর্যালোচনা করতে চাইছে কেন এই পরাজয় একুশের নির্বাচনে। ২০১৮ ও ২০১৯-এ সাফল্য এলেও ২০২১-এ কেন ধরা দিল না সাফল্য।
একুশের পরাজয়ের পর সেই তাগিদ নেই বিজেপির
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর এক মাসের মধ্যেই পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু একুশের পরাজয়ের পর সেই তাগিদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে বিজেপি একুশের ফলাফকে নেতিবাচক মানতে নারাজ। বিজেপি মনে করছে এটা আশাব্যাঞ্জক ফলাফল। বিজেপি ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে।
পর্যালোচনায় বসা মানে দায় নিতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকে
তারপর বিলম্বের আর একটা কারণ হল, এবারের নির্বাচনের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির কেউ ছিলেন না। দিলীপ বা মুকুল কিংবা শুভেন্দু নন, এবারের বংলার নির্বাচনে বিজেপি লড়াই করেছিল মোদী-শাহের নেতৃত্বে। তারপর আদি-নব্য দ্বন্দ্ব ছিল বিজেপিতে প্রার্থী করা নিয়ে। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বও জানে, পর্যালোচনায় বসা মানে দায় তাদেরই নিতে হবে। সেই কারণেও বিলম্ব হতে পারে।
মমতা চাওয়াতেই দলের মুখ অভিষেক! তিনি সবসময়ই সৈনিক, বৈঠকের পরে আর কোন প্রতিক্রিয়া পার্থর