মুম্বইঃ বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে সুনীল দত্তের (Sunil Dutt) নাম অনায়াসে চলে আসে। বলিউডকে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি। যা আজও জ্বলজ্বল করে সুনীল দত্তের দুর্দান্ত অভিনয় এবং পরিচালনা দক্ষতার প্রতিফলন হিসাবে।
প্রয়াত অভিনেতা সুনীল দত্তের ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt) সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এক সাদাকালো স্মৃতির ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সুনীল দত্ত ছোট্ট সঞ্জয়ের হাত ধরে তার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে। এই ছবির মতোই জীবনের প্রতিটা চড়াই উৎরাইতে ঠিক এভাবেই ছেলের হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন সুনীল দত্ত। তাই ছবির ক্যাপশনে সঞ্জয় দত্ত লিখেছেন, ‘সব সময় সব পরিস্থিতিতে আমার হাতটা তুমি এভাবেই ধরে ছিলে বাবা। আমি তোমায় ভালোবাসি বাবা। শুভ জন্মদিন’।
সঞ্জয় দত্তের জীবনে বাবার সহায়তা,ভূমিকা অসামান্য। এই বিষয়ে একাধিকবার একাধিক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, তার জীবনে সকল ওঠা পরায় তার বাবার গুরুত্ব কতটা। কেবল সাক্ষাৎকারে নয়, সঞ্জয় দত্তের জীবনী ছবি ‘সঞ্জু’ (Sanju) তেও পরিচালক রাজকুমার হিরানি (Rajkumar Hirani) ফুটিয়ে তুলেছেন, ছেলের জীবন এবং ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পিছনে কি অসামান্য পরিশ্রম করেছেন সুনীল দত্ত। ছবিতে সঞ্জয় দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রনবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)। এবং সুনীল দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)।
সঞ্জয় দত্তের প্রথম ছবি ‘রকি’ (Rocky) পরিচালনা করেছিলেন স্বয়ং সুনীল দত্ত। নিজের ছেলেকে অভিনয় জগতের শিখরে দেখতে ছেয়েছিলেন বাব এবং মা নার্গিস (Nargis)। কিন্তু ছেলের প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার কিছু দিন আগেই মারা যান ক্যান্সার আক্রান্ত নার্গিস। তার দেখে যাওয়া হয়নি সিলভার স্ক্রিনে ছেলের অভিনয়। সুনীল দত্ত এবং সঞ্জয় দত্তের বাবা ছেলে জুটিকে পর্দায় দর্শীয়েছিলেন রাজকুমার হিরানি। ২০০৩ সালে তার ছবি ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’এ (Munna Bhai MBBS) বাবা ছেলের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন তারা।
১৯৫৫ সালে ‘রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম’ (Railway Platform) ছবি দিয়ে বলিউড অভিষেক হয়েছিল সুনীল দত্তের। ১৯৫৭ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ (Mother India) ছবির শুটিং চলাকালীন নার্গিসের সঙ্গে প্রেম হয় অভিনেতার। পরের বছর ১৯৫৮ সালেই দুজন গাঁট ছড়া বাঁধেন। ‘পদ্মাশ্রী’ (Padma Shri) প্রাপ্ত অভিনেতা সুনীল দত্ত বলিউডকে সহস্র ছবি উপহার দিয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.