লন্ডন: করোনার (Covid-19) সঙ্গে মোকাবিলায় ভ্যাকসিনই (vaccine) একমাত্র অস্ত্র। তাই দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের পথে এগিয়েছে আমেরিকা (United States)। দেশের নাগরিকদের চলছে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে যে সব ভারতীয় ছাত্র ইতিমধ্য়েই কোভ্য়াক্সিন বা স্পুটনিক ভি নিয়েছে তাদের ফের ভ্যাকসিন নেওয়ার নির্দেশ দিল মার্কিন মুলুকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। সেই সব পড়ুয়াকে নিয়ে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত কোনও ভ্যাকসিন।
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এক্ষেত্রে বলেছে, এই সব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে তাদের কাছে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই। সেই কারণেই যে সব পড়ুয়া এই ভ্যাকসিনগুলি নিয়েছে তাদের পুনরায় টিকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শরৎ কালের সেমিস্টার শুরুর আগে যাতে তারা টিকা নেয় এমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে ২টি আলাদা আলাদা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে আশঙ্কিত পড়ুয়ারা। কলম্বিয়া ইউনভার্সিটি স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাব্লিক অ্যাফেয়ার্সের এক ছাত্রী ভারত থেকে কোভ্যাক্সিনের ২টি ডোজ নিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফের তাঁর টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে। এবার তাঁকে অন্য কোনও ভ্য়াকসিন দেওয়া হবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ২টি আলাদা ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।। এর প্রভাব আবেদন প্রক্রিয়ায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এই উদ্বেগ সম্পর্কে ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (Disease Control and Prevention বা CDC) ক্রিস্টেন নর্ডলন্ড (Kristen Nordlund) নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, যেহেতু কোভিডের ভ্যাকসিন এখনও বিনিময়যোগ্য নয়, তাই কোভিডের দুটি ভিন্ন ভ্যাকসিন গ্রহণের পর তার সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও গবেষণা হয়নি। যারা ইতিমধ্যে WHO কর্তৃক অনুমোদিত নয় এমন ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে WHO অনুমোদিত কোনও ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং তার প্রথম ডোজ পাওয়ার আগে ২৮ দিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, WHO এখনও অবধি অনুমোদিত যে সব ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রযোজ্য হল ফাইজার ইনক, মডার্না ইনক এবং জনসন অ্যান্ড জনসন (Pfizer Inc, Moderna Inc and Johnson & Johnson)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.