বিজয়নকে টপকাতে
ভারতীয় দলের হয়ে ১৪ বছর খেলার ফাঁকে তিনবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলেছেন আইএম বিজয়ন। ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় বিজয়নের চারটি গোল ভারতের জয় নিশ্চিত করেছিল। এই তালিকায় বিজয়নের পরেই রয়েছেন সুনীল ছেত্রী। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের প্লে অফে সুনীল ২টি গোল করেছিলেন নেপালের বিরুদ্ধে, ভারত ২-০ গোলে ম্যাচটি জিতেছিল। এ ছাড়াও দুটি করে গোল রয়েছে বিকাশ পাঁজি (১৯৮৬), জুলস আলবার্তো (২০০২) ও জো পল আনচেরি (২০০২)-র। ফলে বিজয়নকে টপকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতের জয়ে সর্বাধিক গোলদাতার নতুন রেকর্ড গড়তে সুনীলের দরকার আর তিনটি গোল।
জয়ের খরা মেটার অপেক্ষা
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত শেষ জিতেছিল ২০১৫ সালে। ২০১৮-র বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় বেঙ্গালুরুতে ভারত গুয়ামকে হারিয়েছিল রবিন সিংয়ের গোলে। ২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত একটি ম্যাচেও জয়ের মুখে দেখতে পারেনি। দোহা-পর্বে তিন ম্যাচের প্রথমটিতে কাতারের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ভারত। তাও ১৭ মিনিটের পর থেকে ১০ জনে খেলে। ভারতীয় দলের খেলা, বিশেষ করে গুরপ্রীত সিং সান্ধু প্রশংসা করেছিলেন বিপক্ষ কোচ, বলেছিলেন ভারতকে হারানো কঠিন। গ্রুপ ই-তে ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। তিনে রয়েছে আফগানিস্তান। ভারতের নীচে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। কাল সুনীলরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামবেন জয়ের লক্ষ্যেই।
২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে
২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাটিতে ওমানের কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল ভারত। এরপর দোহাতেই এশীয় চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতে গোলশূন্য ঐতিহাসিক ড্র করে ভারত। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইগর স্টিমাচের দলকে। পঞ্চম ম্যাচে ওমানের কাছে ফিরতি সাক্ষাতে ০-১ গোলে পরাজয়ের পর কাতারের কাছেও একই ব্যবধানে হেরেছে ভারত।
লক্ষ্য যখন তিন
ভারত যদি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচের পর চতুর্থ স্থানে থাকে তাহলেও স্টিমাচের দল এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং তৃতীয় রাউন্ডে সরাসরি চলে যেতে যদি বাকি গ্রুপগুলির চতুর্থ স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে ভারত ভালো জায়গায় থাকে। তবে এখনও চতুর্থ স্থানে থাকা ছটি দলের পয়েন্ট ভারতের চেয়ে বেশি। ফলে যা পরিস্থিতি তাতে চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানে থাকলে এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং প্লে অফ রাউন্ডেই খেলতে হবে ভারতকে। সে কারণে নিরাপদ জায়গায় থাকতে আফগানিস্তানকে টেনে নামিয়ে তিন নম্বর জায়গা দখলই লক্ষ্য ভারতের।
সামনে বাংলাদেশ
ফিফা ব্যৃাঙ্কিংয়ে ভারতের স্থান ১০৫। বাংলাদেশের ১৮৪। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত দুবার হারিয়েছে, তাও ১৯৮৫ সালে। কাতারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে সুনীলকে কোচ মাঠে না নামানোয় নেতৃত্ব দেন সন্দেশ ঝিঙ্গন। তিনি বলেছেন, আমরা এখনও এবারের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জিতিনি, এমনকী দোহাতে প্রথম ম্যাচে গোলও করতে পারিনি। ফলে সকলেরই ফোকাস বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচে। বাংলাদেশের অধিনায়ক তথা মহমেডান স্পোর্টিংয়ে খেলে যাওয়া জামাল ভুঁইয়া বলেছেন, কলকাতাতে আগের সাক্ষাতে শেষের দিকে গোল করে সমতা ফিরিয়েছিল ভারত, ফলে আমরা তিন পয়েন্ট হাতছা়ড়া করেছিলাম। জয়ের খিদে নিয়ে এবার ভারতকে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছি না।