কোনও ফিল্ম নয়। তবে নরেন্দ্রপুরে যা ঘটে গেল তা যে কোনও ফিল্মকেও হার মানিয়ে দেবে। নরেন্দ্রপুরে গৃহবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে গেল প্রেমিক। এরপর বারুইপুরে প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূকে উদ্ধার করতে গেলে চলল গুলি। এদিনের ঘটনায় হতবাক সকলেই। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে জখম হলেন ৩ পুলিশকর্মী।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সাথে ফেসবুকে আলাপ তার থেকে প্রেম আর প্রেম থেকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বারুইপুরের এক গৃহবধুর। গৃহবধূর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন হল ওই গৃহবধূ প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল।
কিন্তু বারুইপুরের বাসিন্দা ওই প্রেমিক তা কিছুতেই মানতে পারছিল না। গৃহবধূ বারুইপুরের বাড়ি থেকে মাস দুয়েক আগে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেড়ে বাপের বাড়ি নরেন্দ্রপুরে চলে যায়। প্রেমিকের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রেমিকের মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দেয় ওই গৃহবধূ।
কয়েকদিন আগে বারুইপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা টুকান দাস তার ফেসবুকে ওই গৃহবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দিয়ে পোস্ট করে। শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোককে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোক গৃহবধূকে প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
তারপরে প্রেমিক গৃহবধূকে হুঁশিয়ারি দেয় যাতে তার সাথে সে বাড়ি চলে আসে। এই হুমকি ফোন পাওয়ার পর গৃহবধূ বারুইপুর থানায় অভিযোগ করতে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় রাজপুর বাজার থেকে প্রেমিক প্রকাশ্য রাস্তায় বন্দুক দেখিয়ে তার মেয়েকে একটি চারচাকা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে গৃহবধূর বাবা বারুইপুর থানায় অভিযোগ করে।
বীজপুরে অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
বারুইপুর থানার পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই প্রেমিকের বাড়িতে যায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করতে। গৃহবধূকে উদ্ধার করতে গেলে প্রেমিক টুকান দাস বাধা দেয়। তার কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। প্রেমিককে ধরতে গিয়ে ৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়। সবশেষে পুলিশ প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে ও তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ধৃত প্রেমিক কে আজ বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হবে।