নয়া দিল্লি: ভারতে এপ্রিলের শুরু থেকে একপ্রকার তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। অতিমাত্রায় সংক্রমণের রেশ টানতে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনও জারি করা হয়েছে । পাশাপাশি করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রিয় মানুষ হারানোর সংখ্যাটাও রয়েছে অনেক। বলা যেতে পারে বছরের শুরু থেকে ভাইরাসের ফলে একপ্রকার মৃত্যু নগরীতে পরিণত হয়েছে দেশ। আর সম্প্রতি এই কারণে স্বজন হারা শিক্ষার্থীর কথা ভেবে এক নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) তাদের শিক্ষার্থীদের পুরো ফি মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ডিইউ এর এই সুবিধা মিলবে শুধুমাত্র ভাইরাসে বাবা-মা অথবা পরিবারের উপার্জনকারী সদস্য হারিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদেরই। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমন শিক্ষার্থীদের সমীক্ষা করার জন্য কলেজগুলোকে একটি চিঠিও প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) কলেজের ডিন বলরাম পানি (Balaram Pani) জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সমস্ত কলেজে একটি চিঠি প্রদান করা হয়েছে। ভাইরাসে বাবা-মা হারানো শিক্ষার্থীদের একটি সমীক্ষা করার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে এই চিঠিতে। এছাড়া ফি মুকুবের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পিরীক্ষার টাকাও নেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) অধীনে তিন ধরণের কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে কিছু কলেজ পরিচালিত হয় ট্রাস্ট দ্বারা, কিছু কলেজ আছে যেগুলি বিশ্ববিদ্যালয় মেনটেন্ট করে এবং বাকিগুলি পরিচালনা করে দিল্লি সরকার। যার মধ্যে আবার ২৮ টি এমন কলেজ রয়েছে, যেগুলির সম্পূর্ণ এবং আংশিক খরচ দিল্লি সরকার বহন করে।
দিল্লি সরকার পরিচালিত একটি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলে তাদের কলেজ এটি পর্ষদের সামনে পেশ করবে।
অন্যদিকে দিল্লি কলের আরেক অধ্যক্ষ জানিয়েছে, ভিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই শিক্ষার্থীদের ফি মুকুব করতে পারে। তার কারণ হিসেবে তিনি ফিয়ের দুটি উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন । অধ্যক্ষ বলেন, সাধারণত ফিগুলির মান কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা হয়। আরও যোগ করে তিনি বলেন, কলেজের ফি মুকুব করার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র নিতে পারে কলেজগুলি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দিল্লির অনেক কলেজই সমীক্ষা শুরু করেছে। রাজধানী কলেজের রাজেশ গিরি জানিয়েছে যে, তারা ৩০ জন এমন শিক্ষার্থীর সন্ধান করেছে যারা ভাইরাসে পরিবারের একজন অথবা বাবা-মা উভয়কে হারিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.