রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েই যুব সভানেত্রী সায়নী
অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েই ছাপ ফেলে দিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হার মানেন। কিন্তু ভোটে হেরেও বাজিগর হয়ে ওঠেন তিনি। তিনি ভোট প্রচারে বেরিয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও নেতা-কর্মীদের মনে ছাপ ফেলেছিলেন। তার ফলস্বরূপ তিনি তৃণমূল যুব সভানেত্রীর পদ পেলেন।
রাজনৈতিক কেরিয়ারে অভাবনীয় উত্থান
সায়নী ঘোষ রাজনীতিতে পা দিয়েই নব প্রজন্মের কাছে আইকন হয়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের তরুণ প্রজন্ম আওয়াজ তুলেছিল- সায়নীকেই চাই। ভোটে হেরেও তিনি এভাবেই নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে নিলেন। একুশের ভোটের আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। মাত্র দু-মাসের মধ্যে তিনি যেভাবে রাজনৈতিক কেরিয়ার তৈরি করে নিলেন, তাতে অভাবনীয় উত্থান বলা যায়।
সায়নী ঘোযের বিরাট উত্থান, রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব
সায়নী ভোটে হারলেও, তাঁকে কোনও প্রশাসনিক পদে আনা হবে, এমনটা শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু শনিবার তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে য়ে এত বড় চমক অপেক্ষা করছে, তার টের পায়নি কেউই। সায়নী ঘোযের বিরাট উত্থান দেখিয়ে দিল, সত্যিই রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাের পদেই বসছেন সায়নী
দলে যোগ দিয়েই বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট। আর ভোটে হেরে একেবারে তৃণমূলের যুব সংগঠনের মাথায় গিয়ে বসলেন সায়নী। এই উত্থান চমকপ্রদ। কোনও প্রশাসনিক পদ নয়, একেবারে সাংগঠনিক পদ। আবার তা মহাগুরুত্বেরও। যে পদে এতদিন দলের অঘোষিত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, সেই পদেই বসছেন সায়নী।