ভুল করেছি, দয়া করে ক্ষমা করে দিন! এবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন বিজেপি নেত্রীর

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে ২০২১-এর বিধানসভা ভোট পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মরশুম চলছিল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিকের পর বোধহয় শুরু হতে চলেছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার মরশুম। নির্বাচনী ফলাফল বেরনোর একমাস যেতে না যেতেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া।

ইতিমধ্যে একাধিক জেলাতে শুরু হয়েছে বিজেপিতে ভাঙন। দলে দলে লোক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। সেই তালিকাতে রয়েছেন একাধিক কলকাতার প্রভাবশালী নেতাও। যা অবশ্যই চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের কাছে।

তৃণমূলে ফিরতে চান ডলিরানি মন্ডল!

ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই একের পর এক বিজেপি নেতা বেসুরো। কেউ দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন তো কেউ আবার যোগাযোগও রাখছেন না আর বিজেপির সঙ্গে। ক্রমশ লম্বা হচ্ছে তালিকা। এবার দল ছাড়ার তালিকাতে যুক্ত হলেন ডলিরানি মন্ডল। 'ভুল করেছি' বলে দলে ফেরানোর জন্য লিখিত আবেদন করলেন তিনি। মালদার জেলা পরিষদের সদস্যা ডলিরানি জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। তাই ফিরতে চান তৃণমূলে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া যে তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, সে কথাও মেনে নিয়েছেন তিনি। ভুল বুঝেই তিনি ক্ষমা চাইছেন এখন।

কলকাতায় বিজেপি যোগ!

গত ৮ মার্চ কলকাতায় এসে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। জেলা সভাপতিকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ''আমি তৃণমূলের জয়ী সদস্য। গত বিধানসভা ভোটের আগে আমি ভুল বুঝে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত চরম ভুল ছিল। তাই আমাকে ক্ষমা করে পুনরায় দলে ফিরিয়ে ভূতনীচরের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দিন।' উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের হাত ধরে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যরা তুলে নিয়েছিলেন গেরুয়া পতাকা। তৃণমূলের হাত থেকে বিজেপির দখলে চলে আসে জেলা পরিষদ। কিন্তু ভোট মিটতেই একে একে সুর বদলাচ্ছেন অনেকে। সেই দলেই এ বার নাম লেখালেন ডলিরানি মণ্ডল।

তৃণমূল চাপ দিচ্ছে ওদের ওপর!

একের পর এক বিজেপি নেতা এখন পালটা বেসুরো গাইছেন। যদিও বিজেপির অভিযোগ, ভোট মিটতেই বিজেপি নেতাদের উপর হামলা-অত্যাচার করা হচ্ছে। আর সেই কারণে দলবদল করছেন জেলায় অনেকে। বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেণ, ডলিরানি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তৃণমূল চাপ দিচ্ছে ওদের ওপর। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাঁদের। যদিও তৃণমূলে ফিরে আসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন অনেকেই। সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস থেকে শুরু করে মালদার সরলা মুর্মু-অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়। সেখানেই এ বার যুক্ত হল ডলিরানি মণ্ডলের নাম। উল্লেখ্য, বদলের সুর শোনা যাচ্ছে আরও এক দলবদলু নেতা প্রবীর ঘোষালের গলাতেও। এদেরকেও কি ভয় দেখানো হচ্ছে? প্রশ্ন তৃণমূলের।

ভেবে দেখার আশ্বাস!

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মৌসম নুর বলেন, 'আমার কাছে আবেদন এসেছে। আমি বিষয়টা দেখছি। রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।' তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, শুধু ডলিরানি নয়, অনেকেই দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদন নিয়ে এলাকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে, তাঁদের বেশির ভাগেরই আপত্তি রয়েছে। আবেদন গ্রহণ করে রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্ব যা বলবে, সেটাই সব কর্মীকে মেনে নিতে হবে বলে দাবি তৃণমূলের। উল্লেখ্য আজ শনিবার সাংগঠনিক বৈঠক চলছে কলকাতায়। সেখানেই দলবদলুদের ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে খবর।

More BJP News  

Read more about:
English summary
malda zila parishad member dollyrani mandol wants to comeback in tmc