কলকাতা: দেশ জুড়ে মহামারী। করোনার (Covid 19) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা না করা হলেও, বিভিন্ন রাজ্যে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। ১৫ই জুন অবধি বাড়ানো হয়েছে বাংলার প্রায় লকডাউনের বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধের জেরে বন্ধ হয়েছে টলি পাড়ার (Tollywood) শুটিং। কিছু দিনের এপিসোড ব্যাকিং এ রাখা ছিল তা দিয়ে কয়েকদিন কাজ চলেছে। তারপরেও যাতে দর্শকদের ধারাবাহিকের নতুন এপিসোড মিস না যায় তার জন্যে শুটিংয়ের নতুন পন্থা ‘শুট ফ্রম হোম’ (Shoot From Home)। এই ধারায় শুটিং করা নিয়ে প্রযোজক মহলের সঙ্গে ফেডারেশনের মত বিরোধ ঘটলেও, ধারা বজায় আছে।

বাড়ি থেকে শুটিংয়ের ফলে ধারাবাহিকের গল্পের মান এনং দৃশ্যগত মান অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। ফলে টিআরপি (TRP) তালিকাতেও বেশ কিছু ধারাবাহিকের স্থান হয়েছে তলানিতে। এত কম দর্শক নিয়ে সিরিয়াল (Daily Soap) টেনে নিয়ে যাওয়া প্রযোজকদের পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই টলিপাড়ায় কিছু ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার জল্পনা চলছে। বাংলা ধারাবাহিকের জন্যে ‘স্টার জলসা’ (Star Jalsa) এবং ‘জি বাংলা’ (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল। আরও বেশ কিছু চ্যানেল মিলিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয় বাংলায়। কিন্তু বেশ কিছু সিরিয়ালের টিআরপি বিগত কিছুদিনে ভীষণ ভাবে কমে গিয়েছে। তাই সেই সিরিয়াল গুলি বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোন ধারাবাহিক গুলি বন্ধ হতে চলেছে তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও, একটা সম্ভাব্য ধারণা দেওয়া যায়। স্টার জলসার ‘সাঁঝের বাতি’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘ওগো নিরুপমা’ এই ধারাবাহিক গুলি টিআরপি রেসে একেবারেই পিছিয়ে। বন্ধ হওয়ার জো হয়েছে। ‘সাঁঝের বাতি’ সিরিয়ালের টিআরপি ১.৮, ‘ধ্রুবতারা’র টিআরপি ২.৩। জলসার আরও এক সিরিয়াল ‘মোহর’, যার টিআরপি রেটিং ২.৫। অন্যদিকে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘মঙ্গলময়ী সন্তোষী মা’র টিআরপি রেটিং সবথেকে শোচনীয়। ১.৫। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা কোন সিরিয়াল গুলি শীগ্রই অন্তিম পর্বের দিকে এগোবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.