জেলার মিডিয়া সেলের গ্রুপ ছাড়লেন সৌমিত্র
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত সাংসদ সৌমিত্র খান। বাঁকুড়ার পাশাপাশি বিষ্ণুপুরও বিজেপির সাংগঠনিক জেলা হিসেবেই পরিচিত। সেখানকার জেলার মিডিয়া সেলের গ্রুপে ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু তিনি এই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। যা নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তাহলে এবার কি সৌমিত্রও বেসুরো?
যাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষের বৈঠকে
সংগঠনের পরিস্থিতি বুঝতে জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় গিয়েছেন, সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে। এদিন বিকেলে বৈঠক। সৌমিত্র খাঁ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না ব্যক্তিগত কারণে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউনের বিধিকে মান্যতা দিতেই তিনি বৈঠকে যাচ্ছেন না। সৌমিত্র আরও বলেছেন, তিনি শুধু এই বৈঠকেই নয়, ১৫ তারিখ পর্যন্ত তিনি কোথাও যাচ্ছেন না।
স্বামীর পাশে সুজাতা
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা। তারপর সৌমিত্র সুজাতার বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলাও করেন। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আরামবাগ থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীর কাছে। সেই সুজাতা খাঁ এদিন স্বামীর পাশে থেকে বিজেপির ছাড়ার আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, সৌমিত্র সৎ পথে থাকুক। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, দিলীপ ঘোষ যে জায়গা থেকে নির্বাচিত, সেই মেদিনীপুরে বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। কিন্তু বিষ্ণুপুরের ৭ টির মধ্যে ৫ টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তিনি বলেছেন, বিজেপির ৭৫ জন বিধায়ক ৭৫ জি বিধায়ক দলে থাকে কিনা দেখুন।
যাঁরা ভাবছেন, ভুল ভাবছেন
সৌমিত্র খাঁকে তাঁর অবস্থান নিয়ে জল্পনা তৈরির কথা জানালে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই বছর আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি যে সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩। আর এখন ৭৭, উল্লেখ করেছেন তিনি। তাই তাঁকে ঘিরে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাতে পাত্তা দিতে রাজি নন সৌমিত্র। তিনি স্পষ্ট করেছেন, যাঁরা বিষয়টিকে নিয়ে অন্য কিছু ভাবছেন, তাঁরা ভুল ভাবছেন।